রংপুর রাইডার্সই একমাত্র ব্যতিক্রম, নয়তো ঢাকা ডায়নামাইটসের ম্যাচ মানেই একটি প্রশ্ন মাথায় আসে, একই পিচে খেলা হচ্ছে তো?
সিলেট সিক্সার্সকে ৩২ রানে হারিয়ে টানা চতুর্থ জয় তুলে নিয়েছে ঢাকা। তিনবারের চ্যাম্পিয়নদের দেওয়া ১৭৪ রানের লক্ষ্য ছুঁতে গিয়ে ২০তম ওভার পুরোটাই খেলেছে সিলেট। সিক্সার্স ইনিংসের কোনো ভাগেই মনে হয়নি দলটি জিততে পারে। যে উইকেটে ঝড় তুলতে পারার মূল কারিগরদের ব্যর্থতার দিনেই ১৭৩ রান তুলে ফেলল ঢাকা, সেখানেই মুড়ি মুড়কির মতো উইকেট পড়েছে সিলেটের। যে গতিতে এগোচ্ছিল সিলেট তাতে হারের ব্যবধান মাত্র ৩২ হয়েছে, এতেই তৃপ্তির ঢেকুর তুলতে পারে!
১৭৪ রানের লক্ষ্য, এমন ম্যাচে দলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক তাসকিন আহমেদ! সেটাও ১৯ বলে ১৮ রান তুলে। ৯ উইকেটে ১৪১ রান নেওয়া সিলেটের তৃতীয় রান সংগ্রাহক অবশ্য একজন ব্যাটসম্যান, সাব্বির রহমান (১২)। ৩৭ রানে ৫ উইকেট আর ৭৫ রানে ৭ উইকেট হারানো এক দলের সঙ্গে মানানসই এক স্কোরকার্ড।
সিলেটের ভাগ্য ভালো দলে একজন নিকোলাস পুরান আছেন। নিজের পছন্দের টপ অর্ডারে জায়গা পাচ্ছেন না। লেট মিডল অর্ডারেই ঝড় তুলছেন নিয়মিত। ১৮তম ওভার পর্যন্ত সিলেটকে পরাজিত বলা যাচ্ছিল না তাঁর কারণেই। অন্যদিকে যেখানে ব্যাটসম্যানরা আউট হওয়ার প্রতিযোগিতায় নেমেছেন, সেখানে পুরান খেলেছেন ৪৭ বলে ৭২ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস। মাত্র একটাই চার ছিল তাঁর ইনিংসে। কারণ, তাঁর বাকি ৯টি বাউন্ডারিই ছিল ছক্কা। একের পর এক ছক্কা মেরেও ঢাকাকে ভয় দেখাতে পারেননি পুরান। কারণ, ছক্কা মেরে যে পরের বলে আর রান নিতে পারছিলেন না পুরান। বল সীমানার কাছে পাঠানোর পরও যোগ্য সঙ্গীর অভাবে স্ট্রাইক রোটেট করা যাচ্ছিল না। কারণ, একটা ছক্কা হাঁকালেও টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে আজই সর্বোচ্চ ইনিংস খেলা তাসকিনকে ঠিক ব্যাটিং সঙ্গী বলা যায় না।
অষ্টম উইকেট জুটিটা তাই ব্যর্থ হয়েছে। একটি দলে ডেভিড ওয়ার্নার, লিটন দাস, আফিফ, সাব্বির, নাসির ও অলক কাপালির মতো ব্যাটসম্যান থাকার পরও পুরানের এমন সঙ্গীহীন হয়ে পড়াটাই নিশ্চিত করেছে টানা চতুর্থ জয়ে শীর্ষস্থান নিশ্চিত করছে ঢাকা।
২২ রানে ৩ উইকেট নিয়ে ঢাকার সেরা বোলার রুবেল হোসেন। তবে ঢাকার টপ অর্ডার ধসে গেছে সাকিব (২ উইকেট), শুভাগত (২) ও নারাইনের (১) স্পিনেই।অভিষেকে হ্যাটট্রিক করে এখন অ্যাকশন নিয়ে সন্দেহের মুখে পড়া আলিস আজও দুর্দান্ত ফিগার নিয়ে ফিরেছেন। ৪ ওভারে মাত্র ১৪ রান দিয়ে পেয়েছেন ১ উইকেট।