সেই কবে বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচ দেখেছিল ডারউইন। ২০০৮ সালের সে ম্যাচের পর আর কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচের স্বাদ পায়নি উত্তরাঞ্চলের রাজধানী। কিন্তু করোনাকালে সেই ডারউইনই আলোচনার কেন্দ্র বিন্দুতে। আগামী ৬ জুন ডারউইনে শুরু হচ্ছে টি-টোয়েন্টি কার্নিভাল। করোনাভাইরাসের কারণে সব ধরণের খেলা স্থগিত হয়ে যাওয়ার পর এই টুর্নামেন্ট দিয়েই ক্রিকেটের প্রত্যাবর্তন হচ্ছে অস্ট্রেলিয়ায়।
বহুদিন পর শুধু ক্রিকেটই ফিরছে না, এই টুর্নামেন্টে দর্শকদের থাকারও সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে। টপ এন্ড টি-টোয়েন্টি নামের এই টুর্নামেন্টে আটটি দল অংশ নেবে। এর মাঝে সাতটি দল বেছে নেওয়া হয়েছে ডারউইন প্রিমিয়ার গ্রেড থেকে। অষ্টম দলটি আমন্ত্রণমূলক এক দল। নর্দান টেরিটরির এশিয়ান বংশোদ্ভূতদের মাঝে আয়োজিত 'এশিয়া কাপ'এর সেরা খেলোয়াড়দের নিয়ে গড়া হয়েছে দলটি।
বহুদিন পর সরাসরি ক্রিকেট ম্যাচ দেখার সুযোগ থেকে কেউ যেন বঞ্চিত না হন, সেটা নিশ্চিত করা হচ্ছে ফেসবুকের মাধ্যমে। 'মাইক্রিকেট' ফেসবুক পেজের মাধ্যমে ম্যাচগুলো দেখানো হবে। ৬ জুন শুরু টুর্নামেন্টটি শেষ হবে ৮ জুন। স্থানীয় সময় ১০টা ও দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে শুরু হবে ম্যাচ।
এখানেও শেষ নয়। এর পরই ডারউইন অ্যান্ড ডিসট্রিক্ট ওয়ানডে মৌসুম শুরু হয়ে যাবে। ১৪ রাউন্ডের এই প্রতিযোগিতা চলবে সেপ্টেম্বর ১৯ পর্যন্ত। গত ২১ মের পর থেকে কোনো করনা পজিটিভ পাওয়া যায়নি নর্দান টেরিটরিতে। এর ফলে টপ এন্ড টি-টোয়েন্টির ম্যাচ দেখার জন্য ৫০০ দর্শক ঢোকার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। বল চকচকে করার জন্য ঘাম বা লালা ব্যবহার করা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কৃত্রিম কিছুও ব্যবহার করা যাবে না আপাতত।
ডারউইন ক্রিকেট ম্যানেজমেন্ট চেয়ারম্যান ল্যাচলান বেয়ার্ড বলেছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার কাছ থেকে পূর্ণাঙ্গ সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছেন, 'ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া এখনো পর্যন্ত বলছে আইসিসির ঘাম ব্যবহারের নিয়ম তারা অনুসরণ করবে না এবং মোম ব্যবহারেও তারা একমত নয়। তারা এখনো এগুলো ভেবে দেখছে। আশা করি আমাদের টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে এগুলো খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ হবে না। তবে এই সপ্তাহের পর ৫০ ওভারের ক্রিকেট শুরু হবে। তখন আমাদের আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত জানাতে হবে। কি করব আমরা? হয় মোম ব্যবহার করতে হবে অথবা আইসিসির নিয়মানুযায়ী ঘাম ব্যবহার করতে দিতে হবে।'