>বিপিএলের দল না পেয়ে বসে থাকেননি আশরাফুল। কঠোর পরিশ্রম করেছেন নিজের ফিটনেস নিয়ে।
মোহাম্মদ আশরাফুলকে যেন চেনাই যায় না! ছোটখাটো হালকা-পাতলা গড়নের, দেখে মনে হবে মাত্রই বয়সভিত্তিক ক্রিকেট পেরিয়েছেন! নভেম্বরে বিপিএলের নিলামে কোনো দল পাননি। বিপিএল না খেলতে পারার হতাশা ফেলে সময়টা অন্যভাবে কাজে লাগিয়েছেন আশরাফুল। নিজেকে তৈরি করেছেন নতুন উদ্যমে।
গত দেড় মাসে আশরাফুলের রুটিন ছিল একটাই—সকালে রাজধানীর আফতাবনগরে দুই ঘণ্টার ব্যাটিং অনুশীলন। সন্ধ্যায় ধানমন্ডির একটি জিমনেসিয়ামে দেড় ঘণ্টা ফিটনেস নিয়ে কাজ করা। ফল? ৫০ দিনে আশরাফুল ওজন কমিয়েছেন ১২ কেজি! নভেম্বরের ২ তারিখ থেকে শুরু করছিলেন ফিটনেস নিয়ে কাজ। ওজন ৭৩ কেজি থেকে সেটি এখন নেমে এসেছে ৬১ কেজিতে। শরীর ঝরঝরে হওয়ার সুফল পেয়েছেন। পরশু বিসিএলের বিপ টেস্টে পেয়েছেন ১১.১১, যে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে ১০.৫ পেলেই চলত। কাল বিসিএলের ড্রাফট থেকে আশরাফুলকে নিয়েছে ইসলামী ব্যাংক পূর্বাঞ্চল।
ওজন কমাতে ৩৫ বছর বয়সে হাড়ভাঙা খাটুনিই শুধু নয়, আশরাফুল জানালেন, খাদ্যাভ্যাসেও এনেছেন অনেক পরিবর্তন, ‘৫০ দিন ভাত-রুটি বন্ধ করে দিয়েছিলাম। সবজি, মাছ, সালাদের ওপর চলেছি। এই ৫০ দিনের মধ্যে সাত–আট দিন অল্প ভাত খেয়েছি। আমার যে উচ্চতা (৫ ফুট ৩ ইঞ্চি), এটা একটা সুবিধা। ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই ফিটনেস একেবারে খারাপ ছিল না। মাঝে ফিটনেস নিয়ে কোনো কাজ করিনি, এ কারণে একটু মুটিয়ে গিয়েছিলাম।’
ফিক্সিংয়ের অপরাধে পাঁচ বছর নিষিদ্ধ ছিলেন আশরাফুল, যে নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়েছে ২০১৮ সালের আগস্টে। গত দুই বছরে ঘরোয়া ক্রিকেটে নিয়মিত না হতে পারলেও তিনি এখনো স্বপ্ন দেখেন বাংলাদেশ দলে খেলার, ‘বিপিএলে কোনো দল না পেয়ে ভাবলাম সময়টা টিভিতে টক শো না করে নিজেকে তৈরি করি। টেস্ট দলে আমাকে খেলতেই হবে। এখন বাংলাদেশ টেস্ট দলের যে অবস্থা, যদি ফিটনেস ঠিক রাখি, অসম্ভব নয়। আমার স্কিলে তো সমস্যা নেই। এখনো সেঞ্চুরি করতে পারি। সমস্যা ছিল ফিটনেসে। সেটাও ঠিক করে ফেলছি।’