এক বছর ধরে কোনো প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ খেলেননি মহেন্দ্র সিং ধোনি। বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ভারতের ম্যাচের পর নেই জাতীয় দলেও। সাবেক ভারতীয় অধিনায়কের ক্রিকেটে ফিরতে অনেক দেরি গেল করোনার কারণেও। নয়তো মার্চেই হয়তো আইপিএলে চেন্নাই সুপার কিংসের জার্সিতে দেখা যেত তাঁকে। চেন্নাইয়ের হয়ে ভালো খেলে হয়তো ভারতীয় দলে ফেরার একটা বার্তা দিতেও পারতেন তিনি।
সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী সেপ্টেম্বরেই হয়তো মাঠে দেখা যাবে ধোনিকে। মার্চের আইপিএল সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিত হবে সংযুক্ত আরব আমিরাতে। কিন্তু ধোনি কি পুরোপুরি নিজেকে মেলে ধরতে পারবেন? বয়স তো একটা বড় ব্যাপার। ভারতের সবচেয়ে সফল অধিনায়কের প্রধান শত্রু যে এখন এই বয়সই।
আইপিএলে ধোনির ফ্র্যাঞ্চাইজি চেন্নাই সুপার কিংসের অবশ্য ধোনির বয়স নিয়ে কোনো সমস্যা নেই। এমনকি ধোনি চাইলে ৪০ পেরোনোর পরেও চেন্নাইয়ের হয়ে খেলতে পারবেন বলে জানিয়েছেন ফ্র্যাঞ্চাইজিটির প্রধান নির্বাহী কাশী বিশ্বনাথ।
তাঁরা বরং চান ধোনি ৪০ পেরোনোর পরেও খেলাটা চালিয়ে যান, ‘ধোনির বয়স নিয়ে আমাদের কোনো সমস্যা নেই। ২০২২ সালে তাঁর বয়স ৪০ হবে, আমরা চাই সে ওই সময়ও খেলা চালিয়ে যাক’—বিশ্বনাথের মন্তব্য। আইপিএলে ধোনির প্রতি অনেক ঋণ চেন্নাই সুপার কিংসের। দলটিকে তিনটি শিরোপা জিতিয়েছেন ভারতের হয়ে দুটি বিশ্বকাপজয়ী এই অধিনায়ক। আগামী বছর (২০২১) জুলাইতে ধোনি তাঁর ৪০তম জন্মদিন উদ্যাপন করবেন।
এ মুহূর্তে ঝাড়খন্ডে নিজের বাড়ির ইনডোর নেটে আইপিএলের প্রস্তুতি চালিয়ে যাচ্ছেন ধোনি। এ নিয়ে চেন্নাইয়ের সঙ্গে নাকি এখনো কোনো যোগাযোগ হয়নি ধোনির। বিশ্বনাথ নিজেই জানিয়েছেন, ঝাড়খন্ডের বাড়িতে নেট অনুশীলনের কথাটি তিনি পত্রিকা পড়ে জেনেছেন। তবে এ নিয়ে দলের কোনো সমস্যা নেই, ‘আমাদের অধিনায়ককে নিয়ে আমাদের বাড়তি কোনো চিন্তা নেই। সে যথেষ্ট অভিজ্ঞ। সে জানে তাঁর দায়িত্বের জায়গা কোনগুলো!’
আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হবে আইপিএলের ১৩তম আসর। দলগুলো নিজেদের মতো করে এক হয়ে আগামী সপ্তাহে দুবাইয়ের উদ্দেশে রওনা দেবে। চেন্নাইয়ের খেলোয়াড়দেরও কয়েক দিনের মধ্যে চেন্নাইয়ের মিলিত হতে বলা হয়েছে। আগামী সপ্তাহে তাঁরা দুবাই চলে যাবেন। সেখানে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি মানেই চলবে তাঁদের অনুশীলন।