৩ ম্যাচ কম খেলেই টেন্ডুলকারকে ছুঁলেন সাকিব

>এক বিশ্বকাপে সাতটি পঞ্চাশোর্ধ্ব রানের ইনিংসের রেকর্ড আছে শচীন টেন্ডুলকারের। আজ সেই রেকর্ডে ভাগ বসিয়েছেন বাংলাদেশের সাকিব আল হাসান। তবে টেন্ডুলকারের চেয়ে সাকিব ম্যাচ কম খেলেছেন তিনটি।
টেন্ডুলকারের রেকর্ডে ভাগ বসিয়েছেন সাকিব আল হাসান। ছবি: শামসুল হক
টেন্ডুলকারের রেকর্ডে ভাগ বসিয়েছেন সাকিব আল হাসান। ছবি: শামসুল হক

এবারের বিশ্বকাপে সাকিব মাঠে নামা মানেই রেকর্ড বইয়ে আমূল পরিবর্তন। ব্যক্তিগতভাবে কতগুলো রেকর্ড হচ্ছে, সে হিসাব প্রতি ম্যাচেই রাখতে হচ্ছে। আজ পাকিস্তানের বিপক্ষে ফিফটি করে বিশ্ব ক্রিকেটের কিংবদন্তি শচীন টেন্ডুলকারের অনন্য এক রেকর্ডও ছুঁয়েছেন। এক বিশ্বকাপে সাতটি পঞ্চাশোর্ধ্ব রানের ইনিংস আছে টেন্ডুলকারের। ২০০৩ বিশ্বকাপ থেকে রেকর্ডটা নিজের করে রেখেছিলেন লিটল মাস্টার। ১৬ বছর পরে সে রেকর্ডে ভাগ বসালেন সাকিব।

লর্ডসে আজ পাকিস্তানের বিপক্ষে নিয়ম রক্ষার ম্যাচে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ। সেমিফাইনালের দৌড় থেকে ছিটকে পড়ায় বিশ্বকাপে এটাই বাংলাদেশের শেষ ম্যাচ। তবে ব্যক্তিগতভাবে যথারীতি নিজের পারফরম্যান্স ধরে রেখেছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। পাকিস্তানের ৩১৫ রানের জবাবে ব্যাট হাতে যা লড়াই করার, সাকিবই দেখিয়েছেন (এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত)। শাহিদ আফ্রিদির বলে ক্যাচ দিয়ে ফেরার আগে ৭৭ বল খেলে রান করেছেন ৬৪। ফলে ৬০৬ রান নিয়ে বিশ্বকাপ শেষ করলেন সাকিব।

এক ক্রিকেট বিশ্বকাপে সাতটি পঞ্চাশোর্ধ্ব রানের ইনিংস খেলা চাট্টিখানি কথা নয়। যে কীর্তি কেবল আছে টেন্ডুলকার ও সাকিবের। তবে ম্যাচের হিসাবে তুলনামূলক বিচারে অনেক এগিয়ে আছেন বাংলাদেশের ‘সুপারম্যান’। ২০০৩ বিশ্বকাপে ১১ ম্যাচে সাতটি পঞ্চাশোর্ধ্ব ইনিংস খেলেছিলেন টেন্ডুলকার। এর মধ্যে সেঞ্চুরি ছিল মাত্র একটি। আর সাকিবের ৭টি পঞ্চাশোর্ধ্ব ইনিংস খেলতে ম্যাচ খেলতে হয়েছে মাত্র আটটি। সেঞ্চুরিও টেন্ডুলকারের চেয়ে একটি বেশি। তবে সাকিবের চেয়ে টেন্ডুলকারের রান বেশি। টেন্ডুলকারের মোট রান ছিল ৬৭৩ আর সাকিবের ৬০৬। তবে টেন্ডুলকারের চেয়ে সাকিব ম্যাচ কম খেলেছেন তিনটি।

আজ সাকিব শুধু টেন্ডুলকারে রেকর্ডেই ভাগ বসাননি, বিশ্বকাপে সর্বকালের সর্বোচ্চ রানের মালিকের ১০ জনের তালিকায় ঢুকে গিয়েছেন। চারটি বিশ্বকাপ খেলে সাকিবের মোট রান ১১৪৬। এতে রানের দিক দিয়ে নবম স্থানে আছেন সাকিব। তালিকায় তাঁর ওপরে আছেন শচীন টেন্ডুলকার, রিকি পন্টিং, কুমার সাঙ্গাকারা, ব্রায়ান লারারা। সাকিব আরও একটি বিশ্বকাপ খেলতেই পারেন। সেই বিশ্বকাপে এবারের মতো ফর্ম না থাকলেও বিশ্বকাপের সর্বকালের সেরা পাঁচে উঠে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশ উজ্জ্বল থাকবে সাকিবের।

ব্যাটসম্যান

ম্যাচ

রান

গড়

১০০/৫০

শচীন টেন্ডুলকার

৪৫

২২৭৮

৫৬.৯৫

৬/১৫

রিকি পন্টিং

৪৬

১৭৪৩

৪৫.৮৬

৫/৬

কুমার সাঙ্গাকারা

৩৭

১৫৩২

৫৬.৭৪

৫/৭

ব্রায়ান লারা

৩৪

১২২৫

৪২.২৪

২/৭

এবি ডি ভিলিয়ার্স

২৩

১২০৭

৬৩.৫২

৪/৬

ক্রিস গেইল

৩৫

১১৮৬

৩৫.৯৩

২/৬

সনাৎ জয়াসুরিয়া

৩৮

১১৬৫

৩৪.২৬

৩/৬

জ্যাক ক্যালিস

৩৬

১১৪৮

৪৫.৯২

১/৯

সাকিব আল হাসান

২৯

১১৪৬

৪৫.৮৪

২/১০

তিলকারত্নে দিলশান

২৭

১১১২

৫২.৯৫

৪/৪

মাহেলা জয়াবর্ধনে

৪০

১১০০

৩৫.৪৮

৪/৫

অ্যাডাম গিলক্রিস্ট

৩১

১০৮৫

৩৬.১৬

১/৮

জাভেদ মিয়াঁদাদ

৩৩

১০৮৩

৪৩.৩২

১/৮