ভোরে ওঠা সূর্য সকাল গড়িয়ে দুপুরে আরও চড়া হয়। এরপর সূর্যের আলোর তেজ ধীরে ধীরে ম্লান হয়ে গোধূলিলগ্নে অস্ত যায়। পাল্লেকেলে টেস্টে আজ তৃতীয় দিনে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসের দশাও হলো প্রতিদিন ওঠা সূর্যের রুটিনের মতো—প্রথম দুই সেশন পর্যন্ত তবু আশা ছিল, কিন্তু বিকেলের সেশনে এসে সব আশার কী চিরচেনা সমাধি! এ তো টেস্ট ক্রিকেটের চিরায়ত বাংলাদেশই!
একজন বা দুজন একটু ভালো খেলবেন, হয়তো সেঞ্চুরির আশা দেখাবেন, কিন্তু সব মিলিয়ে সম্মিলিত ব্যর্থতায় দিন শেষে পারফরম্যান্স যেন ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’—এই টেস্টে প্রথম ইনিংসের পারফরম্যান্স দেখে অন্তত তেমন মনে হওয়াই স্বাভাবিক।
প্রথম ইনিংসে ২৫১ রানে অলআউট হয়েছে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ইনিংসে ২ উইকেট হারিয়ে ১৭ রান তুলেছে শ্রীলঙ্কা। তৃতীয় দিন শেষে ২৫৯ রানে পিছিয়ে মুমিনুল হকের দল।
৭ উইকেটে ৪৯৩ রানে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে শ্রীলঙ্কা, আজ তৃতীয় দিনে সকালের সেশনে ৩.৩ ওভার খেলার পর। এরপর ব্যাটিংয়ে নেমে একপর্যায়ে ৩ উইকেটে ২১৪ রান ছিল বাংলাদেশের।
তখন ফলোঅন এড়াতে আর ৮০ রান দরকার ছিল। কে ভেবেছিল, বাকিরা মিলে এই রানও করতে পারবেন না! কে ভেবেছিল, মাত্র ৩৭ রানের মধ্যেই বাকি ৭ উইকেট হারিয়ে ফলোঅনে পড়বে দল। অবশ্য টেস্টে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স নিয়মিত দেখা থাকলে এমন ব্যাটিং দেখে ভুরু বেশি কুঁচকে যাওয়াই বরং অস্বাভাবিক।
তবে বাংলাদেশকে ফলোঅন না করিয়ে শ্রীলঙ্কাই আবার ব্যাট করতে নেমেছে। বোঝাই যাচ্ছে, দ্বিতীয় ইনিংসে আরও কিছু রান করে তাড়া করার জন্য বাংলাদেশকে পাহাড়সম লক্ষ্যই দিতে চায় স্বাগতিকেরা।