>ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে আজ ব্রাদার্স ইউনিয়নের দেওয়া ৩৩০ রান টপকে গেছে প্রাইম ব্যাংক। অন্যদিকে বিকেএসপি-শাইনপুকুরের ম্যাচটা হয়েছে টাই। বিকেএসপিতে উত্তরার কাছে মোহামেডান হেরেছে ৭ উইকেটে
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে দুর্দান্ত দুটি ম্যাচ হলো আজ। এক ম্যাচে রানের পাহাড় কিছুই মনে হয়নি, আরেক ম্যাচে মাঝারি স্কোরই টপকে যাওয়া ভীষণ কঠিন হয়ে গেছে। রোমাঞ্চকর ম্যাচ দুটির একটি মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে, আরেকটি ফতুল্লায়।
৩৩০ যখন কিছু নয়!
মিরপুরে ব্রাদার্স ইউনিয়নের দুই ব্যাটসম্যান মিজানুর রহমান আর ফজলে মাহমুদের মিশ্র অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যেতে হলো আজ। মিজানের ১০০ আর ফজলে মাহমুদের অপরাজিত ১৪৯ রানের দুটি ইনিংস প্রাইম ব্যাংকের বিপক্ষে ব্রাদার্সকে এনে দিয়েছিল ২ উইকেটে ৩৩০ রানের বড় স্কোর। প্রাইম ব্যাংকের কেউ সেঞ্চুরি করেননি, তবু তাঁদের কাছে ৩৩০ রানটা কোনো বাধাই মনে হয়নি! ৩৩১ রানের লক্ষ্যে খেলতে নামা প্রাইম ব্যাংককে কখনোই মনে হয়নি রানের পাহাড় টপকে খেলতে সমস্যা হচ্ছে তাদের। প্রাইম ব্যাংক এগিয়েছে সম্মিলিত প্রচেষ্টায়—এনামুল হক, অভিমন্যু ঈশ্বরন, আল আমিন, অলক কাপালির ফিফটিতে ৩৩০ রান অনায়াসে টপকে গেছে প্রাইম ব্যাংক।
অভিমন্যু ৯৬ বলে করেছেন ৯০, অলক কাপালি ৬৫ বলে অপরাজিত ৮২, এনামুল হক ৪৭ বলে ৫৪ আর আল আমিন করেছেন ৪৭ বলে ৫২। ফিফটি পাওয়া চার ব্যাটসম্যানের স্ট্রাইক রেট ১০০-এর ওপরে বা ১০০-এর কাছাকাছি। ৫ উইকেট আর ৭ বলে বাকি থাকতেই জয়ের প্রান্তে পৌঁছে যাওয়া বলে দিচ্ছে, প্রাইম ব্যাংকের জয় কতটা দাপুটে। ১২ মার্চ প্রাইম দোলেশ্বরের কাছে ৩০১ করে হেরেছিল প্রাইম ব্যাংক। আজ তারাই ৩৩০ রান তাড়া করে জিতে সেই ক্ষতে প্রলেপ দিল। তবে এটিই প্রিমিয়ার লিগে সর্বোচ্চ রান তাড়া করার রেকর্ড নয়। ২০১৭ সালে মোহামেডানের বিপক্ষে ৩৪০ তাড়া করে জিতেছিল শেখ জামাল, এখন পর্যন্ত প্রিমিয়ার লিগে যেটি সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জেতার রেকর্ড।
২২২ যখন অনেক কিছু
আট বছর পর ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ খেলতে আসা বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (বিকেএসপি) চমক দিয়েই চলেছে। ডিপিএল টি-টোয়েন্টিতে ফতুল্লায় তারা প্রাইম দোলেশ্বরের বিপক্ষে ম্যাচ টাই করে সুপার ওভারে নিয়ে গিয়েছিল বিকেএসপি। ৫০ ওভারের ক্রিকেটে সুপার ওভার না থাকায় আজ আর সেটি হয়নি। ফতুল্লায় শাইনপুকুরের বিপক্ষে ম্যাচটা বিকেএসপি টাই করেছে। বিকেএসপির দেওয়া ২২৩ রানের লক্ষ্যে খেলতে নামা শাইনপুকুরের ১২ বলে দরকার ছিল ১৪ রান। হাসান মুরাদের করা ৪৯তম ওভারে শাইনপুকুর নিতে পারে ৪ রান। শেষ ওভারের সমীকরণটা নেমে আসে ১০ রানে। প্রথম ৪ বলে ৭ রান নেওয়ায় শেষ ২ বলে দরকার ছিল ৩ রান। এই সমীকরণটাই মেলাতে পারেনি শাইনপুকুর। তাড়াহুড়োয় টানা দুটি রানআউটে ম্যাচ টাই! ব্যাট হাতে ৭০ রান আর বোলিংয়ে ২ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা বিকেএসপির অলরাউন্ডার আবদুল কাইয়ুম।