>
সিডনি টেস্টে ফলোঅনে পড়ে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমেছে অস্ট্রেলিয়া
সিডনি টেস্টে ৬ উইকেটে ২৩৬ রান নিয়ে তৃতীয় দিন শেষ করেছিল অস্ট্রেলিয়া। ভারতের প্রথম ইনিংস থেকে তখনো ৩৮৬ রানে পিছিয়ে ছিল টিম পেইনের দল। আর শুধু ফলোঅন এড়াতেই দরকার ছিল ১৮৭ রান। তখনই বোঝা গিয়েছিল, চতুর্থ দিনে ফলোঅনে পড়তে পারে টিম পেইনের দল। শেষ পর্যন্ত ঘটেছেও ঠিক তাই। আজ চতুর্থ দিনে দেড় ঘণ্টার ব্যবধানে ৬৪ রান খরচায় অস্ট্রেলিয়ার বাকি ৪ উইকেট তুলে নিয়েছে ভারতের বোলাররা। এতে প্রথম ইনিংসে ৩০০ রানে অলআউট হয়ে ফলোঅনে পড়ে আবারও ব্যাটিংয়ে নেমেছে অস্ট্রেলিয়া।
কাল বাজে আবহাওয়ায় আলোকস্বল্পতার জন্য শেষ সেশনে ১৬.৩ ওভার খেলা হয়নি। আজ নির্ধারিত সময়ের আগে খেলা শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বৃষ্টি হানা দেওয়ায় প্রথম সেশনের খেলা মাঠে গড়ায়নি। বৃষ্টি থামলে মাঠে নেমে নতুন বল নিয়েছেন ভারতের অধিনায়ক বিরাট কোহলি। স্কোরবোর্ডে রান যোগ হওয়ার আগে প্রথম ওভারেই প্যাট কামিন্সকে ফিরিয়ে নতুন বল নেওয়ার যৌক্তিকতা প্রমাণ করেছেন মোহাম্মদ শামি। শেষ উইকেটে ৪২ রানের জুটি গড়ে যথাসাধ্য চেষ্টা করেছিলেন মিচেল স্টার্ক ও জস হ্যাজলউড। কিন্তু কুলদ্বীপ যাদব হ্যাজলউডকে ফিরিয়ে গুটিয়ে দেন অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ইনিংস।
৯৯ রানে ৫ উইকেট নিয়েছেন যাদব। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে সফরকারি দলের বাঁ হাতি কবজির স্পিনার হিসেবে সর্বশেষ ৫ উইকেট নেওয়ার নজির ৬৪ বছর আগে। ১৯৫৫ সালে এই সিডনিতেই অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন ইংলিশ স্পিনার জনি ওয়ার্ডল। আর সফরকারি দলের স্পিনার হিসেবে ৬ বছর আগে রঙ্গনা হেরাথের পর অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ৫ উইকেট নেওয়ার নজির গড়লেন ‘চায়নাম্যান’ যাদব।
প্রথম ইনিংসেই ৩২২ রানে এগিয়ে থাকায় অস্ট্রেলিয়াকে ফলোঅনে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন কোহলি। ৩১ বছর পর এই প্রথমবারের মতো ঘরের মাঠে টেস্টে ফলোঅনে নামতে বাধ্য হলো অস্ট্রেলিয়া। সর্বশেষ এমনটি ঘটেছে এই সিডনিতেই ১৯৮৮ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। আর যে কোনো মাঠ বিচারে ২০০৫ সালে ট্রেন্ট ব্রিজ টেস্টের পর এই প্রথম ফলোঅন করতে নামল অস্ট্রেলিয়া। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে অস্ট্রেলিয়া বিনা উইকেটে ৬ রান তোলার পর আলোকস্বল্পতা ও বাজে আবহাওয়ার জন্য খেলা আর মাঠে গড়ায়নি।