টেস্ট জিতে দেশে ফিরতে পারবেন কোহলি?
টেস্ট জিতে দেশে ফিরতে পারবেন কোহলি?

২০ রানে ৫ উইকেট হারানোর পরও দিনটা ভারতের

দিনের শুরুতেই ১১ রানে ৪ উইকেট হারিয়েছে ভারত। দিনের শেষে আবার ব্যাট করতে নেমে ৯ রান তুলতেই বিদায় নিয়েছেন পৃথ্বী শ। তবু অ্যাডিলেড টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষে চওড়া হাসি ভারতের মুখেই। দিবারাত্রির টেস্টে তৃতীয় দিন যে ৬২ রানে এগিয়ে থেকে শুরু করবে সফরকারীরা। হাতে আছে এখনো ৯ উইকেট। ব্যাট–প্যাড নিয়ে নামার অপেক্ষায় চেতেশ্বর পূজারা, বিরাট কোহলি ও অজিঙ্কা রাহানে।

ভারতকে এমন অবস্থায় এনে দেওয়ার কৃতিত্বটা অবশ্যই বোলারদের। ২৩৩ রানে দিন শুরু করে ভারতের ২৪৪ রানেই অলআউট হয়ে যাওয়ার ধাক্কাটা বুঝতেই দেননি যশপ্রীত বুমরা ও রবিচন্দ্রন অশ্বিন। ফিল্ডারদের মাখন গলানো হাত বিদ্রোহ করে না বসলে আজই হয়তো ম্যাচের ফলটা অনেকাংশে নিজেদের পক্ষে এনে ফেলতে পারত ভারত।

কোহলিকে উল্লাস করার সুযোগ বারবার এনে দিয়েছেন কোহলি।

ঘরের মাঠে ১৯১ রান করতেই ভারতীয় ফিল্ডারদের সাহায্য দরকার হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার। এতে অবশ্য কিঞ্চিৎ আপত্তি তুলতে পারেন টিম পেইন। ব্যাট হাতে দলে তাঁর অবদান এতটাই সীমিত যে কেন তাঁকে এখনো অধিনায়ক বানিয়ে দল বহন করছে, এ নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয় নিয়মিত। আজ অন্তত সেসব প্রশ্ন ধামাচাপা দিয়েছেন পেইন।

১১১ রানেই ৭ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল অস্ট্রেলিয়া। বুমরা, অশ্বিন বা উমেশ যাদবদের বোলিং এতে ভূমিকা রেখেছে; অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটসম্যানদের ভুল সিদ্ধান্তও এতে প্রভাব ফেলেছে। খাদের কিনার থেকে ভারতের লিড মাত্র ৫৩ রানে কমিয়ে আনার কাজটা প্রায় একাই করেছেন পেইন। শেষ তিন উইকেটে ৮০ রান যোগ করেছেন। সঙ্গীদের মধ্যে সর্বোচ্চ অবদান স্টার্কের, ১৫।

পেইন একাই লড়েছেন।

অবশ্য পেইনের লড়াইটা অনেক আগেই শেষ হতে পারত। ১১১ রানে জোড়া উইকেট হারানো অস্ট্রেলিয়ার জন্য ‘নেলসন’ নাম্বার সত্যিকার অর্থেই ভয়ংকর হয়ে উঠেছিল। দলের ১১১ রানেই বুমরাকে হুক করেছিলেন পেইন। কিন্তু সীমানার কাছে থাকা মায়াঙ্ক আগারওয়াল সে ক্যাচ ধরে রাখতে পারেননি। ২৬ রানে থাকা পেইনকে আর আউট করতে পারেনি ভারত। ৭৩ রানে অপরাজিত ছিলেন অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক।

ভারতের ফিল্ডাররা অবশ্য এর আগে থেকেই ভারতকে সহযোগিতায় নেমেছিলেন। স্টার্ক ও পেইন ছাড়া অস্ট্রেলিয়া ইনিংসে আর মাত্র একজন ১৫ পেরোতে পেরেছেন, মারনাস লাবুশেন। ৪৭ রান করা লাবুশেন বিদায় নিতে পারতেন ১২ রানেই। কিন্তু সীমানার কাছে তাঁর সহজ এক ক্যাচ ফেলেন বুমরা। ২১ রানে সেই বুমরার বলেই ক্যাচ দিয়েছিলেন লাবুশেন। কিন্তু সেটা এবার ফেলার ‘দায়িত্ব’ নেন পৃথ্বী শ।

ফিল্ডারদের এমন অসহযোগিতার মধ্যেই ৫৫ রানে ৪ উইকেট অশ্বিনের। ৪০ রানে ৩ উইকেট পেয়েছেন যাদব।