ইতিহাসের মাত্র তৃতীয় বোলার হিসেবে টেস্টে এক ইনিংসে ১০ উইকেটের সব কটি পেয়েছেন এজাজ প্যাটেল। ১৪৪ বছরের ইতিহাসে এর আগে শুধু ইংল্যান্ডের জিম লেকার (১৯৫৬) ও ভারতের অনিল কুম্বলে (১৯৯৯) এ কীর্তি গড়েছেন। ক্রিকেট ইতিহাসে নিজের নামটা স্থায়ী হয়ে গেল প্যাটেলের। আজ এ তালিকায় দুই কিংবদন্তির পাশে বসলেন নিউজিল্যান্ডের বাঁহাতি স্পিনার এজাজ প্যাটেল।
কিন্তু শুধু এটুকুতেই আটকে নেই এজাজ প্যাটেলের গল্প। ১১৯ রানে ১০ উইকেট নিয়ে আরও দারুণ সব ভুলে যাওয়া রেকর্ডের স্বাদ পাইয়েছেন কিউই স্পিনার।
নিউজিল্যান্ডের হয়ে টেস্টে সেরা বোলিং কীর্তি ছিল রিচার্ড হ্যাডলির। ১৯৮৫ সালে ব্রিসবেনে ৫২ রানে ৯ উইকেট তুলে নেওয়ার অনন্য সে কীর্তি আজ থেকে নিউজিল্যান্ডের দ্বিতীয় সেরা। ২০০২ সালে ক্যান্ডিতে মুত্তিয়া মুরালিধরনের ৫১ রানে ৯ উইকেট নেওয়ার কীর্তিও এখন আরেক ক্ষেত্রে দ্বিতীয় সেরা। ঘরের মাঠে নিজের জন্মস্থানে সেরা বোলিংয়ের কীর্তি গড়েছিলেন মুরালিধরন। আর প্রতিপক্ষের মাঠে খেলতে নেমেই সে রেকর্ড ভাঙলেন এজাজ। নিউজিল্যান্ডের হয়ে খেললেও তাঁর জন্ম তো মুম্বাইয়েই।
কুম্বলে ও লেকারের কীর্তি প্রতিপক্ষের দ্বিতীয় ইনিংসে। ওদিকে ভারতের প্রথম ইনিংসেই ১০ উইকেট নিয়েছেন এজাজ। আর আগের দুই কীর্তিমান ছিলেন ডানহাতি। প্রথম বাঁহাতি হিসেবে টেস্টে ১০ উইকেট পেয়েছেন প্যাটেল।
প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে সর্বশেষ কোনো বোলার ১০ উইকেট পেয়েছেন ২০০১ সালে। দুলীপ ট্রফির ম্যাচে পূর্বাঞ্চলের হয়ে খেলতে নেমে দেবাশীষ মোহান্তি দক্ষিণাঞ্চলের ১০ উইকেট তুলে নিয়েছিলেন। সেদিনের তাঁর এক শিকার রাহুল দ্রাবিড় আজ ড্রেসিংরুম থেকে এজাজ প্যাটেলের কীর্তি দেখেছেন।
সর্বশেষ কোনো স্পিনার কোনো প্রথম শ্রেণির ম্যাচের প্রথম ইনিংসে ১০ উইকেট পেয়েছিলেন ৬৫ বছর আগে। সে কীর্তিটা জিম লেকারের। ম্যানচেস্টার টেস্টে ১০ উইকেট তুলে নেওয়ার দুই মাস আগে সারের হয়ে খেলতে নেমে অস্ট্রেলিয়ার ১০ উইকেট তুলে নিয়েছিলেন লেকার (৮৮/১০)। আর কোনো বাঁহাতি স্পিনারের সর্বশেষ কীর্তি ছিল ১৯২১ সালে। গ্লস্টারশায়ারের চার্লি পার্কার সমারসেটের বিপক্ষে ৭৯ রানে ১০ উইকেট পেয়েছিলেন। পার্কারের পর গত ১০০ বছরে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটেই কোনো বাঁহাতি বোলার—হোক পেসার কিংবা স্পিনার, প্রথম ইনিংসে ১০ উইকেট পাননি।