>গণিতে বরাবরই কাঁচা ছিলেন বিরাট কোহলি। একবার পরীক্ষায় ১০০-তে ৩ পেয়েছিলেন ভারত অধিনায়ক। কিন্তু ক্লাসের সবচেয়ে খারাপ ছাত্রটি কিন্তু তিনি ছিলেন না। গণিত বাদে বাকি সব বিষয়ই দ্রুত বুঝে ফেলতেন তিনি।
বিশ্বের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যানের এত রান করার রহস্য কী? বিরাট কোহলি বরাবরই বলে এসেছেন, কঠোর পরিশ্রম আর আত্মনিবেদন। আরও একটি গুণ কোহলিকে আলাদা করে রাখে, বোলারদের দ্রুত বুঝে নিতে পারেন। অথচ বর্তমান সময়ের সেরা তিনি কিনা গণিতে এতটাই কাঁচা ছিলেন যে এক পরীক্ষায় এক শতে তিন পেয়েছিলেন!
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পেস, বাউন্স আর স্পিনের বিপক্ষে নিয়মিতই পরীক্ষা দিচ্ছেন কোহলি। তিন ফরম্যাটেই অবিশ্বাস্য ফর্ম আর সাফল্য বলে দিচ্ছে সে পরীক্ষায় বরাবরই এ প্লাস পাচ্ছেন কোহলি। অনূর্ধ্ব-১৯ দলের মোটাসোটা এক ব্যাটসম্যান থেকে কঠোর পরিশ্রম করেই এখন জাতীয় দলের অধিনায়ক। ওয়ানডেতে টেন্ডুলকারের রেকর্ড ভাঙার সম্ভাব্য দাবিদার। সেই কোহলি এখনো স্কুলের পরীক্ষা পাস করার কথা ভাবলেই আঁতকে ওঠেন।
এক স্পোর্টস ওয়েব শোতে নিজের অঙ্কভীতি নিয়ে কথা বলেছেন কোহলি। সেখানেই জানালেন, ক্রিকেটে চার-ছয় মারা তাঁর কাছে যত সহজ, অঙ্ক পরীক্ষায় পাস করা ছিল ততটাই কঠিন, ‘মাঝেমধ্যেই তো অঙ্ক পরীক্ষা দেওয়া লাগত। আর এতে সর্বোচ্চ ১০০ পাওয়া যায়। আমি সাধারণত তাতে ৩ পেতাম, আমি এতটাই ভালো ছিলাম! আমি তো বুঝতেই পারতাম না কেন কেউ অঙ্ক শিখতে চায়! আমি কখনো এর জটিলতাগুলো বুঝতাম না। বাস্তব জীবনে ওই সূত্র কখনো ব্যবহার করতে হয়নি আমাকে।’
অঙ্কে ৩ পাওয়ার ঘটনা স্বাভাবিক হলেও সে পরীক্ষায়ও ঠিকই পাস করে এসেছেন কোহলি। কারণ স্কুলের পরীক্ষা পার হলেই আর কখনো অঙ্ক না করার প্রলোভন যে ডাকছিল কোহলিকে, ‘আমি শুধু যত দ্রুত সম্ভব দশম শ্রেণি পার করতে চেয়েছি। কারণ এরপরই সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়, অঙ্ক পড়ব কি পড়ব না। বিশ্বাস করুন, আমি জীবনে ক্রিকেট খেলাতেও অমন পরিশ্রম করিনি, যতটা না ওই পরীক্ষায় পাস করার জন্য করেছিলাম।’
একই সাক্ষাৎকারে কোহলি বলেছেন, ক্লাসের সবচেয়ে মেধাবী তাঁকে বলা যাবে না। কিন্তু অঙ্ক ছাড়া অন্য বিষয় দ্রুতই বুঝে ফেলার ক্ষমতা ছিল তাঁর।