>আজ দুই দলের অধিনায়ক ছিলেন সাকিব ও মাশরাফি। বাংলাদেশের ক্রিকেটের দুই মহীরূহ। এই দুজনকে সামনে রেখে হ্যাটট্রিক করেছেন আলিস আল ইসলাম।
আলিস আল ইসলামের হ্যাটট্রিকের কৃতিত্বের ভাগ পাবেন সাকিবও। অধিনায়কের দায়িত্বে থেকে আনকোরা একজন বোলারকে আস্থার সঙ্গে ব্যবহার করেছেন বলে শুধু নয়; তৃতীয় উইকেটটা আলিস পেয়েছেন স্লিপে সাকিবের দারুণ এক ক্যাচের সুবাদে! আলিস আল ইসলাম নামের অচেনা এই বোলারের কপাল বটে। আজ বিপিএল হাউস ফুল। আজই শীর্ষ কোনো ক্রিকেটে খেলতে নামলেন, মিরপুরের হোম অব ক্রিকেটে তো এই প্রথম। সেই ম্যাচেই নজর কাড়লেন।
নজর শুধু দর্শকদেরই কাড়েননি; এই ম্যাচে যুযুধান দুই অধিনায়ক বাংলাদেশের ক্রিকেটেরই দুই মহীরূহ—সাকিব আল হাসান ও মাশরাফি বিন মুর্তজা। ৪ ওভারে ২৬ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হওয়া আলিস সাকিবকে ধন্যবাদ দিতে তাই ভুললেন না, ‘সাকিব ভাই খুব উৎসাহ দিচ্ছিলেন। শুধু বলছিলেন যে, ভালো হচ্ছে, তুই তোর ভালো জায়গায় বল করতে থাক।’
ম্যাচ শেষ হওয়ার পর সাকিব অবশ্য কোনো কৃতিত্ব নিতে চাইলেন না, ‘আলিসের মধ্যে যে সম্ভাবনা আছে, তা আমরা জানতাম। এটা সৌভাগ্যের শুরুতেই ও নিজের মান দেখিয়ে দিতে পেরেছে। তবে এখনো ওর অনেকটা পথ যাওয়া বাকি। আজকে দুর্দান্ত খেলেছে এটা তো বলতেই হবে। অধিনায়কত্বের মজাটাই এমন। যদি আপনার দান লেগে যায়, সবাই ভাববে, বাহ দারুণ অধিনায়কত্ব। আর যদি না লাগে, আপনার সিদ্ধান্তটা বাজে দেখাবে।’
আজ আলিসের দ্বিতীয় শিকার ছিলেন মাশরাফি নিজে। বিপিএলের বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা আনকোরা এক বোলারের কাছে হেরেছে দারুণ সুবিধাজনক অবস্থানে থেকেও। এই পরাজয়ের বড় কারণ হিসেবে মাশরাফি নিজেদের দায় দেখেন বেশি করে। তবে আলিসের পিঠ চাপড়ে দিতেও ভুললেন না মাশরাফি, ‘সে ভালো করেছে। বৈচিত্র্য আছে ওর বোলিংয়ে। ওর জন্য ভালো হয়েছে। এত বড় মঞ্চে গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে ভালো বোলিং করে ম্যাচ জিতিয়েছে। আমাদের সব তো ঠিকই ছিল। ওকে ভালোভাবে সামলেছি আমরা। আমাদের ভুলের কারণে শেষ মুহূর্তে ম্যাচটা হেরেছি। তবে কৃতিত্ব তার, সে ওই সময় নার্ভ ধরে রাখতে পেরেছে এবং ভালো বোলিং করেছে।’