দেশ হিসেবে এমন সংকটের মধ্য দিয়ে শ্রীলঙ্কা এর আগে যায়নি কখনো। এ সংকটের মধ্যে প্রথম দল হিসেবে দেশটিতে সফরে গেছে অস্ট্রেলিয়া, যে সফর ঘিরেও একসময় তৈরি হয়েছিল অনিশ্চয়তা। শেষ পর্যন্ত কলম্বোর আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে ফিরে এসেছে পুরোনো উল্লাসের আওয়াজ, অস্থির সময়ে ক্রিকেটেই স্বস্তির খোঁজ!
শ্রীলঙ্কার ব্যাটিংয়ের দুর্দান্ত শুরুতে সে বিনোদন পানও দর্শকেরা। ১১.৫ ওভারে ১ উইকেটে তারা তোলে ১০০ রান। শ্রীলঙ্কার রানটা ১৮০ পেরোয় কি না, প্রশ্নটা তখন সেটি নিয়েই। অথচ তাদেরকেই লন্ডভন্ড করে দিলেন জশ হ্যাজলউড। ১ ওভারে ৩ উইকেট নিয়ে ধসিয়ে দিলেন স্বাগতিকদের, সে চাপ থেকে আর বেরোতে পারেনি তারা। ১২৮ রানে অলআউট হওয়ার পর ১০ উইকেটে হেরেছে শ্রীলঙ্কা। ১২৯ রানের লক্ষ্যটা ৬ ওভার হাতে রেখেই পেরিয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া। ডেভিড ওয়ার্নার ৪৪ বলে ৭০ ও অ্যারন ফিঞ্চ ৪০ বলে ৬১ রান করে অপারজিত ছিলেন।
লক্ষ্যটা ছোট, রান তাড়ায় অ্যারন ফিঞ্চ ও ডেভিড ওয়ার্নারের উদ্বোধনী জুটিতে শুরুটাও অমন উড়ন্তই হয় অস্ট্রেলিয়ার। প্রথম ওভারেই স্পিনার মহীশ তিকসানাকে আনেন লঙ্কান অধিনায়ক দাসুন শানাকা, তবে লাভ হয়নি কোনো। পাওয়ারপ্লের ৬ ওভারেই অস্ট্রেলিয়া তোলে ৫৯ রান।
মাত্র ৩২ বলে অর্ধশতক পেয়ে যান ওয়ার্নার, দ্বিতীয় দফা বৃষ্টি নামার আগে ১২তম ওভারে ১০০ রানও ছুঁয়ে ফেলে অস্ট্রেলিয়া। ম্যাচে দুবার হানা দিয়েছে বৃষ্টি, প্রথমবার দ্রুত খেলা শুরু হলেও দ্বিতীয়বার বেশ দেরিই হয়েছে। দেরি হলেও অবশ্য ওভার কাটা যায়নি একটিও।
এর আগে টস জিতে লঙ্কানদের ব্যাটিংয়ে পাঠান ফিঞ্চ। অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক কি ভুল করলেন—দানুস্কা গুনাতিলকার ব্যাটিংয়ের সময় এমনটাই মনে হচ্ছিল। ১৫ বলে ২৬ রান করে দলকে ৩৯ রানে রেখে ফেরেন লঙ্কান ওপেনার। এরপর ৬১ রানের জুটি গড়ে দলের রানটাকে তিন অঙ্কে নিয়ে যান পাতুম নিশাঙ্কা ও চারিত আসালাঙ্কা।
দ্বাদশ ওভারের শেষ বলে মিচেল স্টার্ক নিশাঙ্কাকে (৩১ বলে ৩৬ রান) বোল্ড করতেই বিপর্যয়ের সূচনা। এরপর ১৪তম ওভারে আরেক পেসার হ্যাজলউড তো পেয়ে গেলেন ৩ উইকেটে। তাতে ১ উইকেটে ১০০ থেকে দেখতে না দেখতেই শ্রীলঙ্কার স্কোর ৫ উইকেটে ১০৩। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে শেষ ওভারের তৃতীয় বলে অলআউট শ্রীলঙ্কা। ২৮ রানে স্বাগতিকেরা হারায় শেষ ৯ উইকেট। ৪ ওভারে ১৬ রানে ৪ উইকেট নিয়েছেন হ্যাজলউড। স্টার্ক ৩ উইকেট নিতে খরচ করেছেন ২৬ রান। আসালাঙ্কা করেন লঙ্কান ইনিংসে সর্বোচ্চ ৩৮ রান, ৩৪ বল খেলে।