৮ রান তুলতেই ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলে শ্রীলঙ্কা। কুশল পেরেরা, দিনেশ চান্ডিমাল ও আভিস্কা ফার্নান্ডোকে হারিয়ে শ্রীলঙ্কার ইনিংস যখন দিশেহারা, উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান পাথুম নিশাঙ্কাকে নিয়ে হাল ধরেন হাসারাঙ্গা। দলের কঠিন সময়ে হাসল হাসারাঙ্গার ব্যাট, তাই হাসতে পারল শ্রীলঙ্কাও।
দলের সবচেয়ে প্রয়োজনেই ব্যাট হাতে ভরসার প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়ে গেছেন হাসারাঙ্গা। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৮ রান তুলতেই আজ ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলে শ্রীলঙ্কা। কুশল পেরেরা, দিনেশ চান্ডিমাল ও আভিস্কা ফার্নান্ডোকে হারিয়ে শ্রীলঙ্কার ইনিংস যখন দিশেহারা, উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান পাথুম নিসাঙ্কাকে নিয়ে হাল ধরেন হাসারাঙ্গা। দলের কঠিন সময়ে হাসল হাসারাঙ্গার ব্যাট, তাই হাসতে পারল শ্রীলঙ্কাও।
আউট হওয়ার আগে ৪৭ বলে ১০টি চার ও একটি ছয়ে করেছেন ৭১ রান। চতুর্থ উইকেটে নিসাঙ্কাকে নিয়ে গড়েছেন ১২৩ রানের জুটি, তা–ও আবার মাত্র ৮২ বলে। এ জুটিতে তাঁর অবদানই ৭১ রান। ব্যাট হাতে আলো ছড়ানোর পর বল হাতেও ৪ ওভারে মাত্র ১২ রান দিয়ে নিয়েছেন একটি উইকেট। সব মিলিয়ে ম্যাচসেরার পুরস্কারও গেছে তাঁরই অধিকারে। সে তো যাবেই, হাসারাঙ্গার ব্যাটে ভর করেই যে ৮ রানে ৩ উইকেট হারানোর পরও ২০ ওভার শেষে শ্রীলঙ্কার স্কোর ছিল ৭ উইকেটে ১৭১।
হাসারাঙ্গা যখন ব্যাট করছিলেন, তাঁর ব্যাটিং দেখে মনেই হয়নি দল এত চাপে পড়েছে। খুবই সাবলীল খেলে যাচ্ছিলেন তিনি। তবে অমন চাপের মুখে এভাবে ব্যাট করাটা সহজ ছিল না বলেই ম্যাচ শেষে বলেছেন নিজেকে ব্যাটিং অলরাউন্ডার দাবি করা হাসারাঙ্গা, ‘প্রথম যখন উইকেটে গেলাম, খুব চাপে ছিলাম। প্রথম দিকে কিছু বলে স্ট্রাইক বদল করে খেলেছি। এরপর রান বাড়ানোর দিকে মনোযোগ দিই।’ ব্যাটে–বলে দারুণ ছন্দে আছেন হাসারাঙ্গা। কিন্তু নিজেকে নিয়ে বলতে গিয়ে তাঁর কথা, ‘আমি নিজেকে একজন ব্যাটিং অলরাউন্ডার বলব।’