ইংল্যান্ডের বিপক্ষে জয়ের জন্য ৩৮৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন সাকিব আল হাসান। তবে দ্রুত দুটি উইকেট হারিয়ে হারের চোখ রাঙানি দেখছে বাংলাদেশ
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচের আগে মাশরাফি বিন মুর্তজা বলেছিলেন, বাংলাদেশ জয়ের জন্য খেলবে। কিন্তু সেই ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটছে কোথায়! বরং বলা ভালো, রেকর্ড গড়ে জয়ের চেষ্টা দূরে থাক পুরো ৫০ ওভার খেলার চেষ্টা করছে বাংলাদেশ। জয়ের জন্য ৩৮৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম ১০ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ছিল ১ উইকেটে ৪৮। মাঝে সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম পাল্টা লড়াইয়ের চেষ্টা করলেও জোড়া আঘাতে পথ হারিয়েছে বাংলাদেশ।
তৃতীয় উইকেটে সাকিব-মুশফিকের ১০৬ রানের জুটিতে হাল না ছাড়া মানসিকতার প্রকাশ ছিল। কিন্তু ২৯ ও ৩০তম ওভারে মুশফিক ও মোহাম্মদ মিঠুনের বিদায়ে হার দেখছে বাংলাদেশ। পেসার লিয়াম প্লাঙ্কেটকে ২৯তম ওভারে উইকেট দিয়েছেন মুশফিক (৪৪)। পরের ওভারে আদিল রশিদের লেগ স্পিনে উইকেটরক্ষক জনি বেয়ারস্টোকে ক্যাচ দেন মিঠুন (০)। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৩২.৩ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ১৭৯। সাকিব এক প্রান্ত আগলে রেখে তুলে নিয়েছেন সেঞ্চুরি। ৯৫ বলে ১০০ রানে অপরাজিত থেকে ব্যাট করছেন সাকিব। অন্য প্রান্তে তাঁর সঙ্গী মাহমুদউল্লাহ। বিশ্বকাপ ক্রিকেটে বাংলাদেশের দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড এখন সাকিবের।
প্রায় চার শ ছুঁইছুঁই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা একটু ঝোড়ো হলে মাঝের ব্যাটসম্যানদের ওপর চাপটা কম পড়ে। কিন্তু দুই ওপেনার তামিম ইকবাল-সৌম্য সরকার কী ভেবেছিলেন কে জানে! শুরুতে রক্ষণাত্মক খেলতে গিয়ে জফরা আর্চারের গতি ও বাউন্সের সামনে দুই ব্যাটসম্যানকেই অসহায় লেগেছে। চতুর্থ ওভারে সৌম্য ফিরেছেন আর্চারের অসাধারণ এক ডেলিভারিতে ভীষণ অসহায়ের মতো। ঘণ্টায় ১৫০ কিলোমিটারের আশপাশে থাকা বলটি সৌম্যর ডিফেন্স ফাঁকি দিয়ে স্টাম্পের বেলস উড়িয়ে শূন্যে ভেসেই পাড়ি দিয়েছে সীমানা!
৮ বলে ২ রান করে সৌম্য ফেরার পর তামিম ইকবালের ওপর বড় ইনিংস খেলার দায়িত্ব ছিল। সাম্প্রতিক সময়ে বড় ইনিংস খেলতে শুরুতেই খোলসবন্দী হওয়াকে অভ্যাসে পরিণত করা তামিমের কাছ থেকে আজ একটু আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ের প্রত্যাশা সমর্থকদের। বাংলাদেশের এ অভিজ্ঞ ওপেনার সেটি যেন বুঝতে পারলেন ১২তম ওভারের শেষ বলে! প্রথমবারের মতো ডাউন দ্য উইকেট এসে মার্ক উডকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ক্যাচ দিয়েছেন এক্সট্রা কভার অঞ্চলে। ২৯ বলে ১৯ রান করা তামিমকে ইংলিশ পেসারদের গতির সামনে এতটুকু স্বচ্ছন্দ মনে হয়নি।