২৮ বলে দরকার ৪৩। হাতে ৮ উইকেট। উইকেটে ‘সেট’ ফিফটি তুলে নেওয়া জনি বেয়ারস্টো। ইংলিশ ব্যাটসম্যান থাকতে ১৬তম ওভারে যুজবেন্দ্র চাহালকে বোলিংয়ে নিয়ে আসেন বিরাট কোহলি। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু অধিনায়কের প্রত্যাশা মিটিয়ে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন এ লেগ স্পিনার। পর পর দুই বলে তুলে নেন বেয়ারস্টো ও বিজয় শংকরকে। জয়ের সুবাস পেতে থাকা সানরাইজার্স হায়দরাবাদ তখন হুট করেই হারের মুখে!
শেষ পর্যন্ত ১০ রানের ব্যবধানে হারতে হয় সানরাইজার্সকে। তার আগে নাটক জমেছিল ১৬ থেকে ১৭তম ওভারের মধ্যে। জয়ের জন্য ১৬৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নামা সানরাইজার্সের সংগ্রহ ১৫তম ওভার শেষে ছিল ২ উইকেটে ১২১। পরের দুই ওভারের মধ্যে ১৪ রান তুলতে তারা হারায় ৪ উইকেট। ১৮তম ওভারে ভুবনেশ্বর কুমারকেও তুলে নেন বেঙ্গালুরু পেসার নবদীপ সাইনি। ঘোরতর বিপদে পড়ে যায় সানরাইজার্স। এক বল পর রশিদ খানকেও তুলে নিয়ে বেঙ্গালুরুকে জয়ের সুবাস পাইয়ে দিতে শুরু করেন সাইনি। ১৮তম ওভারে এসে স্রেফ গতি দিয়েই দুজনের স্টাম্প উপড়ে ফেলেন এ পেসার। এরপর ১২ বলে ২২ রানের প্রায় অনতিক্রম্য দূরত্বে পিছিয়ে পড়ে সানরাইজার্স। হাতে যে মাত্র ২ উইকেট, কোনো স্বীকৃত ব্যাটসম্যান নেই।
পরের ওভারে মিচেল মার্শও ক্যাচ তুলে ফিরে যান। এরপর বেঙ্গালুরুর জয় ছিল শুধুই সময়ের ব্যাপার। ১৯.৪ ওভারে ১৫৩ রানে অলআউট হয় সানরাইজার্স। ‘ডেথ ওভার’-এ বেঙ্গালুরুর বোলিংয়ে দুর্নাম নতুন কিছু না। কিন্তু এ ম্যাচে তা যেন মুছে ফেলার পণ করে নেমেছিলেন চাহাল-সাইনি-শিবম দুবেরা। ৩ উইকেট নেন চাহাল। ২টি করে উইকেট সাইনি ও দুবের। শেষ দিকে তাদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে জয় দিয়ে এবার আইপিএলে শুভ সূচনা করল কোহলির দল। তার আগে ম্যাচটা সানরাইজার্সের মুঠোয় নিয়ে এসেছিলেন বেয়ারস্টো। ৪৩ বলে ৬১ রান করা বেয়ারস্টো ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে কেন অমন শট খেলতে গিয়ে আউট হলেন সেটি বড় প্রশ্ন হয়ে থাকবে। এরপরই ম্যাচের পাল্লা ধীরে ধীরে ঝুঁকতে শুরু করে বেঙ্গালুরুর দিকে। মণীশ পাণ্ডে ও বেয়ারস্টোর ৭১ রানের জুটি অবশ্য ভয়ই পাইয়ে দিয়েছিল বেঙ্গালুরু সমর্থকদের। ৩৪ রান করেন মণীশ পাণ্ডে।
এর আগে বেঙ্গালুরুর হয়ে দুর্দান্ত খেলেছেন ওপেনার দেবদূত পাড়িক্কাল। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট, লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেট ও স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে অভিষেকেই ফিফটি পেয়েছিলেন তিনি। কেরালার জন্ম নেওয়া ব্যাটসম্যান আইপিএল অভিষেকেও পেয়ে গেলেন ফিফটি। ৪২ বলে ৫৬ রান করেছেন পাড়িক্কাল। ফিফটি তুলে নেন তাঁর সতীর্থ এ বি ডি ভিলিয়ার্সও (৩০ বলে ৫১)। এই দুই ফিফটির সৌজন্যে বেঙ্গালুরু ২০ ওভারে তোলে ৫ উইকেটে ১৬৩ রান।