ভালোই চলছিল মোস্তাফিজুর রহমানের। নিউজিল্যান্ড সফর শেষে বিয়ে করেছেন। কদিন ছুটি কাটিয়ে ফিরেছেন ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে। চার বছর পর প্রিমিয়ার লিগে তাঁর প্রত্যাবর্তনটাও ভালো হয়েছে। চোখ যখন আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজ আর ২০১৯ বিশ্বকাপে, তখনই পেলেন চোট। কাল শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবের অনুশীলনে বাঁ পায়ের গোড়ালিতে চোট পেয়েছেন বাঁহাতি পেসার।
আজ দুপুরে বিসিবি চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরীর রুমে ঢুকেছেন খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে। তাঁর বাঁ পায়ের গোড়ালিটা ব্যান্ডেজে জড়ানো। মোস্তাফিজের চোট নিয়ে দেবাশীষ বললেন, ‘ওর একটা এক্স-রে করা হয়েছে। এক্স-রে রিপোর্টে খারাপ কিছু ধরা পড়েনি। সামনে লম্বা সূচি আছে আমাদের। আমরা আপাতত কনজারভেটিভ পদ্ধতিতে ওর চোট সারিয়ে তোলার চেষ্টা করব। আজ পর্যবেক্ষণ করে ওকে দুই সপ্তাহ বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে। দুই সপ্তাহ পরে আবার পর্যবেক্ষণ করব।’
এ মাসের শেষ সপ্তাহে শুরু হবে বাংলাদেশের দলের কন্ডিশনিং ক্যাম্প। দেবাশীষ জানালেন, কন্ডিশনের ক্যাম্পের শুরুতে মোস্তাফিজ বোলিং-ব্যাটিং করতে পারবেন না। তখন তাঁকে পুনর্বাসনপ্রক্রিয়ার মধ্যে থাকতে হবে। দুই সপ্তাহ পর যদি বোঝা যায় স্কিল ট্রেনিংয়ের অবস্থায় আছেন, মোস্তাফিজ তবেই বোলিং শুরু করতে পারবেন। তবে ইতিবাচক দিক হচ্ছে, মোস্তাফিজের গোড়ালির হাড়ে কোনো চিড় ধরা পড়েনি। লিগামেন্টে হালকা চোট আছে। দেবাশীষ বললেন, ‘আমাদের অভিজ্ঞতা বলে, দুই সপ্তাহের মধ্যে ব্যথার তীব্রতা কমে আসে। ব্যথা কমে এলে সে ধীরে ধীরে বোলিং শুরু করতে পারবে।’
বিশ্বকাপের দল ঘোষণা হতে পারে আগামী সপ্তাহে। অথচ এই সময়ে বাংলাদেশ দলে চোটের মিছিল। মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ, রুবেল হোসেন, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাসকিন আহমেদ, সাইফউদ্দিনের পর চোটের তালিকায় যোগ হলো মোস্তাফিজের নাম। স্বাভাবিকভাবেই এটি চিন্তায় ফেলে দিচ্ছে নির্বাচক ও টিম ম্যানেজমেন্টকে।