করাচিতে আজ ইমার্জিং কাপে হংকংকে ২৮ রানে হারিয়ে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২৩ দল। সেঞ্চুরি করেছেন মোসাদ্দেক। এই জয়ের পরও শেষ চারে খেলার সমীকরণটা কঠিন হয়ে গেছে বাংলাদেশের সামনে।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের কাছে হারের পর ইমার্জিং কাপের সেমিফাইনালের আশা টিকিয়ে রাখতে আজ করাচিতে হংকংকে হারাতেই হতো বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২৩ দলকে। সেটি তারা পেরেছেও। তবে হংকংকে হারাতে বেশ কষ্টই হয়েছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২৩ দলের।
টস জিতে ব্যাটিং করতে নেমে আজও শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশ ইমার্জিং টিমের। ৯ রানে ওপেনার মিজানুর রহমানকে হারানোর পর জাকির হোসেন-নাজমুল হোসেন শান্তর দ্বিতীয় উইকেট জুটি ৮৭ রান যোগ করে দলকে বড় স্কোরের স্বপ্ন দেখায়। কিন্তু ৮৯ থেকে ৯৯—১০ রানের মধ্যে ২ উইকেট হারালে আবারও ব্যাটিং বিপর্যয়ের শঙ্কায় পড়ে বাংলাদেশ । সেটি হয়নি মোসাদ্দেক হোসেনের দৃঢ়তায়। জাতীয় দলের বাইরে থাকা এই ক্রিকেটার করেছেন ৮৬ বলে ঠিক ১০০ রান। ইয়াসির আলীর সঙ্গে তাঁর পঞ্চম উইকেট জুটিতে যোগ হয়েছে ৯০ রান। ৫০ ওভার শেষে বাংলাদেশ ইমার্জিং টিমের স্কোর ৮ উইকেটে ২৮৬।
২৮৬ রান তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২৩ দলের বোলারদের ভালো পরীক্ষাই নিয়েছেন হংকংয়ের ব্যাটসম্যানরা, বিশেষ করে নিজাকাত খান ও বাবর হায়াত। দুজনের তৃতীয় উইকেটে যোগ হয়েছে ১০১ রান। নাঈম হাসানের বলে বোল্ড হওয়ার আগে নিজাকাত করেছেন ৯২। খালেদের শিকার হওয়ার আগে বাবরের রান ৯১। দুজন শুধু সেঞ্চুরি বঞ্চিতই হননি, জয়টাও হাতছাড়া করেছেন। নির্ধারিত ৫০ ওভারে হংকংয়ের রান ৭ উইকেটে ২৫৮। বাংলাদেশ ইমার্জিং দল জিতেছে ২৮ রানে।
গ্রুপ পর্বে বাংলাদেশের শেষ ম্যাচ পরশু শক্তিশালী পাকিস্তানের বিপক্ষে। হংকং ও আমিরাত—দুই দলকে বড় ব্যবধানে হারিয়ে পাকিস্তান আছে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে। সেমিফাইনালে যেতে হলে পাকিস্তানকে হারাতেই হবে নুরুলদের। নিজেদের প্রথম ম্যাচে আমিরাতের কাছে হারের কারণেই নুরুল-মোসাদ্দেকদের সামনে সমীকরণটা এমন কঠিন হয়ে গেছে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ ইমার্জিং: ৫০ ওভারে ২৮৬/৮ (মোসাদ্দেক ১০০, জাকির ৪৯, ইয়াসির ৪৫, নাজমুল ৩৬; আইজাজ ৩/৬২, এহসান ২/৪৮)।
হংকং ইমার্জিং: ৫০ ওভারে ২৫৮/৭ (নিজাকাত ৯২, বাবর ৯১; মোসাদ্দেক ২/২৩, খালেদ ২/৬৯)।
ফল: বাংলাদেশ ইমার্জিং দল ২৮ রানে জয়ী।