>১৫ সদস্যের বিশ্বকাপ দল ঘোষণা করেছে অস্ট্রেলিয়া। দলে ডাকা হয়েছে সদ্য নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফেরা ডেভিড ওয়ার্নার ও স্টিভেন স্মিথকে।
পিটার হ্যান্ডসকম্বের কপাল খারাপ বলতেই হবে। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে শেষ ১৩ ম্যাচে একটি সেঞ্চুরি আর তিনটি হাফ সেঞ্চুরি পেয়েছেন। ৪৪ গড় আর ৯৯ স্ট্রাইক রেট। কিন্তু তারপরেও তাঁর বিশ্বকাপ খেলা হচ্ছে না। টিম কম্বিনেশনের চক্করে পরে অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপ দল থেকে বাদ পড়েছেন তিনি। হ্যান্ডসকম্ব বাদ পড়লেও অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপ দলে সুযোগ পেয়েছেন স্টিভ স্মিথ আর ডেভিড ওয়ার্নার। নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে এই দুই বড় তারকা ফেরায় হ্যান্ডসকম্বকে এক প্রকার ‘বলি’ই দিতে হয়েছে নির্বাচকদের।
স্মিথ আর ওয়ার্নারের ফেরার ব্যাপারটি অনুমিতই ছিল। গত বছর মার্চে অস্ট্রেলিয়া-দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যকার কেপটাউন টেস্টে বল টেম্পারিং করে নিষিদ্ধ হয়েছিলেন স্মিথ আর ওয়ার্নার। এক বছরের নিষেধাজ্ঞা ছিল তাদের ওপর। এই সময় আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তো বটেই, ঘরোয়া ক্রিকেটও খেলতে পারেননি স্মিথ-ওয়ার্নার। গত মাসে সে নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হয়েছে। বিশ্বকাপ দলে তাই এই দুই অভিজ্ঞ ক্রিকেটারকে অন্তর্ভুক্ত না করার কোনো কারণ দেখেননি অস্ট্রেলীয় নির্বাচকেরা।
হ্যান্ডসকম্বের মতোই বিশ্বকাপ ক্রিকেট ২০১৯ দলে নেই ফাস্ট বোলার জশ হ্যাজলউড। জানুয়ারি থেকে পিঠের চোট ভোগাচ্ছে হ্যাজলউডকে, তাই তাঁর বাদ পড়াটা প্রত্যাশিতই ছিল। তবে দলে আছেন মিচেল স্টার্ক। তিনি ছাড়াও দলের পেস আক্রমণ সামলাবেন ঝাই রিচার্ডসন, প্যাট কামিন্স, জেসন বেহেরেনডর্ফ ও নাথান কোল্টার-নাইল। দলে নেওয়া হয়নি ভারতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে ঝড় তোলা ব্যাটসম্যান অ্যাশটন টার্নারকেও।
দলে একমাত্র উইকেটরক্ষক অ্যালেক্স ক্যারি। স্মিথ-ওয়ার্নারকে ফেরানো হলেও সাবেক অধিনায়ক স্মিথ বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক থাকছেন না। এক বছর ধরে নেতৃত্ব দেওয়া অ্যারন ফিঞ্চই থাকছেন অধিনায়ক হিসেবে।
১ জুন আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপ শুরু করতে যাচ্ছে অস্ট্রেলিয়া।
অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপ দল: অ্যারন ফিঞ্চ (অধিনায়ক), স্টিভেন স্মিথ, ডেভিড ওয়ার্নার, উসমান খাজা, শন মার্শ, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, মার্কাস স্টইনিস, অ্যালেক্স ক্যারি (উইকেটরক্ষক), অ্যাডাম জামপা, নাথান লায়ন, জেসন বেহেরেনডর্ফ, নাথান কোল্টার-নাইল, প্যাট কামিন্স, মিচেল স্টার্ক, ঝাই রিচার্ডসন।