২০০৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে তামিম ইকবালের যখন আন্তর্জাতিক অভিষেক, সাইফ হাসানের তখন হয়তো ক্রিকেটেই হাতেখড়ি। শৈশব থেকে সাইফ দেখছেন তামিমকে বাংলাদেশের হয়ে ওপেন করতে। আর স্বপ্ন দেখেছেন, ‘আমিও একদিন...’। সময়ের স্রোতে সেই সাইফের এখন সুযোগ হচ্ছে টেস্টে তামিমের সঙ্গে ওপেন করার। প্রিয় ওপেনারের সঙ্গে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দলের ইনিংস উদ্বোধন করছেন—কেমন লাগছে সাইফের?
এই অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করা একটু কঠিনই। তবে বড় এক স্বপ্ন পূরণ হওয়ায় সাইফের চোখে খুশির ঝিলিক ঠিকই বোঝা যায়, ‘ছোটবেলা থেকে স্বপ্ন ছিল তামিম ভাইয়ের সঙ্গে ওপেন করব। সেই স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। এখন এটা লম্বা করতে হবে। যদি ভালো খেলি সুযোগ বেশি থাকবে।’
সুযোগের কথা বলছিলেন সাইফ। তাঁর মতো এই সুযোগটা তো আরও অনেকেই পেয়েছেন। কিন্তু কেউই তামিমের সঙ্গে ওপেনিং জুটিতে থিতু হতে পারেননি। গত দুই বছরে কখনো লিটন দাস, কখনো ইমরুল কায়েস, সৌম্য সরকার কিংবা সাদমান ইসলামকে সুযোগ দেওয়া হয়েছে। রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে ওপেনিং জুটিতে তামিমের অন্য প্রান্তে যোগ হয়েছেন সাইফ। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে প্রতিভাবান এ ওপেনারের সঙ্গে কি জমবে তামিমের? বাস্তবতা বুঝেই সাইফের ভাবনায় একটা বিষয় কাজ করছে, ধারাবাহিক ভালো খেলতে হবে, ‘যেখানেই খেলেন না কেন যদি দুই-তিন ম্যাচ খারাপ করেন আপনাকে কিন্তু বাদ দেওয়া হবে। সব সময় দেখে আসছি পারফরম্যান্সই সব। ভালো খেললে জায়গাটা হবে। খারাপ খেললে বেরিয়ে যেতে হবে।’
ঘরোয়া প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ধারাবাহিক ভালো খেলা সাইফ টেস্ট ক্রিকেটে এসেই বুঝেছেন পথটা কাটায় ভরা। অভিষেক ইনিংসেই আউট হয়েছেন কোনো রান না করে, টিকতে পেরেছেন মাত্র দুই বল। পরের ইনিংসে ১৬ রানের বেশি করতে পারেননি। ক্যারিয়ারের প্রথম টেস্ট খেলে সাইফের উপলব্ধি, ‘আমরা যেভাবে ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলে আসছি সেদিক থেকে চিন্তা করলে অত সহজ না। মানসিকভাবে তৈরি হতে হবে। জাতীয় দলের প্রস্তুতি খুব ভালো হচ্ছে। সুযোগ পেলে ইনিংস বড় করতে হবে।’
ইনিংস বড় করার প্রস্তুতি হিসেবে সাইফ নেটে চেষ্টা করেছেন আউট না হতে। লম্বা সময় উইকেটে টিকে থাকতে। তাঁর এই চেষ্টা জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সফলভাবে কাজে লাগলেই হয়।