>উইকেট শিকারে এবার সবাইকে ছাপিয়ে গেছেন মিচেল স্টার্ক। কাল সেমিফাইনালে গড়েছেন দারুণ এক রেকর্ডও। যদিও স্টার্কের দল ফাইনালে উঠতে পারেনি। অন্যদিকে প্রচুর ‘ডট’ বল খেলিয়ে ইংল্যান্ডের ফাইনালে ওঠায় দারুণ অবদান রেখেছেন পেসার জফরা আর্চার
বোলিং মানেই উইকেট নেওয়ার চ্যালেঞ্জ। এ চ্যালেঞ্জ যিনি যত জিতবেন, তিনি এবং তাঁর দল তত বেশি সফল। এটাই ক্রিকেটের সাধারণ আপ্তবাক্য। কিন্তু মিচেল স্টার্ককে দেখলে কথাটি ভুল মনে হতেই পারে। অস্ট্রেলিয়ান পেসার এ বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি, অথচ তাঁর দল ফাইনালে নেই! অথচ জফরা আর্চারকে দেখুন, উইকেটসংখ্যায় এ ইংলিশ পেসার মোস্তাফিজুর রহমানের পেছনে। কিন্তু আর্চারের দল ইংল্যান্ডই উঠেছে ফাইনালে।
কাল ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সেমিফাইনালে দারুণ এক রেকর্ড গড়েছেন স্টার্ক। নিজ দেশের কিংবদন্তি পেসার গ্লেন ম্যাকগ্রাকে টপকে বিশ্বকাপের এক সংস্করণে সর্বোচ্চ উইকেট নেওয়ার রেকর্ড গড়েছেন স্টার্ক। ২০০৭ বিশ্বকাপে ১১ ম্যাচে ৮০.৫ ওভার বল করে ২৬ উইকেট নিয়েছিলেন ম্যাকগ্রা। এবার ১০ ম্যাচেই ২৭ উইকেট নিয়ে তাঁর রেকর্ডটা নিজের করে নিলেন স্টার্ক। অস্ট্রেলিয়ান এ পেসার সম্ভত একটি জায়গায় বাকি সবার চেয়ে আলাদা। ২০১৫ থেকে এ পর্যন্ত স্টার্ক দুটি বিশ্বকাপে যত ম্যাচ খেলেছেন, সব কটিতেই উইকেট নিয়েছেন। কিন্তু স্টার্কের অন্তত এবার সন্তুস্ট থাকার কোনো কারণ নেই। সেটি অবশ্যই তাঁর দল ফাইনালে উঠতে না পারায়।
এবার ক্রিকেট বিশ্বকাপে ভীষণ শৃঙ্খলার সঙ্গেই বল করেছেন স্টার্ক। একটি পরিসংখ্যানই তা বুঝিয়ে দেয়। স্টার্ক এবার বিশ্বকাপে ৫৫৪টি বৈধ ডেলিভারি করেছেন। এর মধ্যে ‘নো বল’ না করে করেছেন ৫০০ ডেলিভারি। ৪৮৫ ডেলিভারি নিয়ে তারপরই আর্চার। ইংলিশ এ পেসার লাইন-লেংথের শৃঙ্খলায় অবশ্য স্টার্ককেও ছাপিয়ে গেছেন। বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি ‘ডট’ খেলিয়েছেন আর্চার। ১০ ম্যাচে ১৯ উইকেট নেওয়া এ পেসার এ পর্যন্ত বল করেছেন ৯০.৫ ওভার। অর্থাৎ ৫৪৫টি বৈধ ডেলিভারির মধ্যে ৩৩৮টি ডেলিভারিতে আর্চার কোনো রান দেননি। ৩২০টি ‘ডট’ বল নিয়ে তারপরই আছেন ট্রেন্ট বোল্ট। ফাইনালে দুই পেসারের ‘ডট’সংখ্যার যে তারতম্য ঘটবে, তা বলাই বাহুল্য।