বাকবিতন্ডায় খেলা বন্ধ থাকে পাঁচ মিনিট
বাকবিতন্ডায় খেলা বন্ধ থাকে পাঁচ মিনিট

আবাহনী-গাজী গ্রুপ

স্কোরবোর্ডে ভুল, আম্পায়ারদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা আকবরদের

বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে স্কোরবোর্ডের ভুল নিয়ে আম্পায়ারের সঙ্গে তর্কে জড়ান গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের অধিনায়ক আকবর আলী ও দলের অন্যান্য ক্রিকেটাররা। এই ঘটনায় গাজী ও আবাহনীর ম্যাচে প্রায় পাঁচ মিনিটের মতো খেলা বন্ধ ছিল।

ঘটনাটি ঘটে গাজীর প্রতিপক্ষ আবাহনীর ইনিংসের ৩৯.১ ওভারে। সে সময় স্কোরবোর্ডে ৪০ ওভার লেখা থাকায় গাজীর অধিনায়ক তৃতীয় পাওয়ার প্লে-র কথা ভেবে পাঁচজন ফিল্ডার ৩০ গজের বাইরে রাখেন। আবাহনীর আফিফ হোসেন ছিলেন স্ট্রাইকে। বোলার হুসনা হাবিব মেহেদী ওভারের প্রথম বল করতেই তৃতীয় পাওয়ার প্লে-র আগে বাড়তি একজন ফিল্ডার বাইরে রাখায় আম্পায়ার নো বল ডাকেন।

এখানে আম্পায়ারের ভুল ছিল না। আকবরেরও না।
গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের ম্যানেজার সুমন

এই ঘটনায় গাজীর ক্রিকেটাররা আম্পায়ারের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। অধিনায়ক আকবরকে বারবার স্কোরবোর্ডের দিকে হাত তুলে কিছু বলতে দেখা যাচ্ছিল। গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের ম্যানেজার সুমন অবশ্য এতে আম্পায়ারের ভুল দেখছেন না।

মুঠোফোনে তিনি বলছিলেন, ‘এখানে আম্পায়ারের ভুল ছিল না। আকবরেরও না। পাওয়ার প্লে শুরু হতে আরও এক ওভার বাকি ছিল। তাই আম্পায়ারও কোনো সিগনাল দেননি। আমরা স্কোরবোর্ডে ৪০ ওভার দেখে ফিল্ডিং সাজিয়েছি।‘

১০৩ বল খেলে ১০৯ রান করেন জাকের আলী

এতে অবশ্য আবাহনীর ব্যাটিংয়ে কোনো ছন্দপতন হয়নি। শেষ দশ ওভারে আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করে আবাহনী শেষ পর্যন্ত ৭ উইকেটে ৩১১ রান করে। ১০৩ বল খেলে ১০৯ রান করেন তিনে নামা জাকের আলী। ১৩টি চার ও ২টি ছক্কায় সেজেছে জাকেরের ইনিংসটি।

আফিফের ব্যাট থেকে আসে ৩২ বলে ৫০ রানের ঝলমলে ইনিংস। ৪টি চার ও ৩টি ছক্কা ছিল আফিফের ১৫৬ স্ট্রাইক রেটের ইনিংসে। তবে আবাহনীকে তিন শ ছাড়িয়ে যেতে সাহায্য করে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের ১০ বলে ১৮ রানের অপরাজিত ইনিংসটি।