কুমার সাঙ্গাকারা খুব করে চান সৌরভ গাঙ্গুলী যেন আইসিসির প্রধান হন। শ্রীলঙ্কান তারকার চাওয়া, অধিনায়ক হয়ে যেভাবে ভারতীয় দলকে বদলে দিয়েছিলেন ঠিক সেভাবেই যেন আইসিসির প্রধান হিসেবে ক্রিকেটকেও এগিয়ে নিয়ে যান সৌরভ।
নিজেকে সৌরভের বড় ভক্ত হিসেবেই তুলে ধরেছেন সাঙ্গাকারা, ‘আমি মনে করি সৌরভ গাঙ্গুলী ক্রিকেটে বদল আনতে পারবে। আমি তাঁর খুব বড় ভক্ত। সাবেক ভারতীয় অধিনায়কের রয়েছে দারুণ ক্রিকেট মস্তিষ্ক। সে ক্রিকেটের স্বার্থ নিয়েই সব সময় ভাবে। তাঁর চিন্তা-চেতনায় আছে কেবল ক্রিকেট। সেটি ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান কিংবা আইসিসির প্রধান যে ভূমিকাতেই হোক না কেন!’
সৌরভকে ক্রিকেটের স্বার্থেই আইসিসির প্রধান হিসেবে ভাবতে চান সাঙ্গাকারা, ‘ক্রিকেট খেলাটাই হয় দর্শক-সমর্থকদের ওপর ভিত্তি করে। বিসিসিআই সভাপতি হওয়ার পর সৌরভের কাজ, উদ্যোগ—সবই আমি খেয়াল করেছি। এমসিসি ক্রিকেট কমিটিতেও দেখেছি। সে খুব ভালো সম্পর্ক তৈরি করতে জানে। আমার মনে হয় আইসিসি সভাপতির দায়িত্ব নিলে সৌরভ খুব ভালো করবে। আমি তো মনে করি যেকোনো বিচারেই আইসিসির সভাপতি হিসেবে সৌরভ দুর্দান্ত এক প্রার্থী।’
সাঙ্গাকারা নিজেও অবসরের পর ক্রিকেটের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে নিজেকে জড়িয়েছেন। এমসিসির সভাপতি হিসেবে তিনি দায়িত্ব পালন করছেন এ মুহূর্তে। আগামী অক্টোবর পর্যন্ত তিনি এ দায়িত্বে থাকবেন। যুক্তরাজ্যের বাইরে প্রথম ব্যক্তি হিসেবে লঙ্কান কিংবদন্তিই প্রথম এমসিসির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
সম্প্রতি আইসিসির প্রধানের পদ ছেড়েছেন শশাঙ্ক মনোহর। তাঁর পরে আইসিসির প্রধান হিসেবে অনেকেই সৌরভকে ভাবতে চাইলেও সাবেক ভারতীয় অধিনায়ক এখনই হয়তো ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থার সভাপতি হতে পারবেন না। এক, তিনি ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের প্রধানের দায়িত্ব বলতে গেলে সদ্যই হাতে নিয়েছেন। সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছেন মেয়াদ বৃদ্ধির। দায়িত্বে ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য ক্রিকেট সংস্থার সভাপতি হিসেবেও। ভারতীয় বোর্ডের সংস্কারের জন্য গঠিত লোধা কমিশনের নির্দেশনা হিসেবে তিন বছর কোনো দায়িত্বে না থাকলেই কেবল আইসিসির সভাপতি হিসেবে লড়তে সক্ষম হবেন তিনি। সর্বোচ্চ আদালতে তিনি আবেদন করেছেন এ নিয়মের বিরুদ্ধেও। এখনো আদালত কোনো রায় দেয়নি এ ব্যাপারে।