>বিপিএলে আজ রাজশাহী রয়্যালসের কাছে ১৫ রানে হেরেছে কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স। ৮৮ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছেন কুমিল্লার সৌম্য সরকার
ঘরোয়া টি-টোয়েন্টিতে অবশেষে সৌম্য সরকারের ঘুম ভাঙল! তবে বড্ড দেরিতে। এ সংস্করণে দীর্ঘ চার বছরেরও বেশি সময় পর আজ ফিফটির দেখা পেলেন জাতীয় দলের টপ অর্ডার এ ব্যাটসম্যান। যদিও তাঁর দল কুমিল্লা জিততে পারেনি। বিপিএলে আজ রাজশাহী রয়্যালসের ১৯০ রান তাড়া করতে নেমে ১৫ রানে হেরেছে কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স।
বিপিএলে সৌম্য সবশেষ ফিফটির দেখা পেয়েছিলেন ২০১৫ সালে। এরপর অনেক জল গড়ালেও ব্যাটসম্যান সৌম্যর পারফরম্যান্সের (!) তেমন একটা বদল ঘটেনি। এবার বিপিএলেও বেশির ভাগ ইনিংসে ভালো শুরু পেয়েও শেষ করে আসতে পারছিলেন না কুমিল্লার এ ব্যাটসম্যান। আজ তিনি খেলা শেষ করে এলেও কুমিল্লার হার একটা প্রশ্ন রেখে গেল—ওভারপ্রতি গড়ে সাড়ে ৯-এর একটু বেশি রান রেট তাড়া করতে নেমে ৪ উইকেটে ১৭৫ রান তুলে থেমেছে কুমিল্লার ইনিংস। হাতে ৬ উইকেট রেখে ১৫ রানের এ হারে সান্ত্বনার চেয়ে আক্ষেপই হবে বেশি।
কুমিল্লা আসলে পিছিয়ে পড়েছে ইনিংসের শুরুতেই। পাওয়ার প্লে-র ৬ ওভারে উঠেছে ২ উইকেটে ৪৪। ততক্ষণে ফিরেছেন ডেভিড মালান ও রবিউল ইসলাম। ওপেনার রবিউলের ১৫ বলে ১২ রান এ ম্যাচের মেজাজের সঙ্গে মোটেও মানানসই নয়। যেমন আরেক ওপেনার স্টিয়ান ফন জিল ২৩ বলে করেছেন ২১।রাজশাহীর বোলাররা যে খুব ভালো বল করেছেন ঠিক তাও না। নইলে সৌম্য শেষ দিকে অমন মেজাজে ব্যাট করতে পারতেন না। আর তাই সাব্বির রহমানের ইনিংসটা দেখে আগের প্রশ্নটাই আরও প্রকট হয়ে ওঠে। ২৩ বলে ২৫ রান করা সাব্বিরের ইনিংস দেখে মনে হতেই পারে, সাব্বির কি তাহলে টি-টোয়েন্টির ব্যাটিং ভুলে গেলেন!
১৭.৩ ওভারে সাব্বির যখন আউট হলেন ১৫ বলে ৬৪ রান লাগবে কুমিল্লার। আর যখন উইকেটে ছিলেন ৬০ বলে ১১৬ রান দরকার ছিল দলটির। সাব্বির উইকেটে থাকতে কুমিল্লাটা ম্যাচটা কীভাবে ফসকেছে সেটি একটি প্রশ্ন। অন্য প্রান্তে সৌম্য শুরু থেকে মারমুখী থাকলেও মাঝে একটু মন্থর ছিলেন। ৩৬ বলে ফিফটি তুলে নেওয়ার মেরেছেন ২ ছক্কা ও ৩ চার। জয়ের জন্য শেষ ১২ বলে ৫৬ রানের দূরত্বে থাকতেও চেষ্টা করেছিলেন সৌম্য ও ডেভিড ভিসে। এ দু্ই ওভার থেকে ৪০ রান তুলেছেন দুজন। শেষ পর্যন্ত ৬ ছক্কা ও ৫ চারে ৪৮ বলে ৮৮ রানে অপরাজিত ছিলেন সৌম্য।
রাজশাহী আজ মোট ৮ বোলার ব্যবহার করেছে। ২৪ রানে ১ উইকেট নেওয়া মোহাম্মদ ইরফান ছিলেন সবচেয়ে মিতব্যয়ী। তবে ১ ওভারে ৬ রান দেওয়া তাইজুল ইসলামকে আর বল দেওয়া হলো না কেন সে প্রশ্ন উঠতেই পারে।