>
- ঘরোয়া বড় পরিসরের ক্রিকেটে ধারাবাহিক রান করে চলেছেন তুষার
- বিসিএলের চার ম্যাচের পাঁচ ইনিংসে পেয়েছেন তিন সেঞ্চুরি
- আজ সিলেটে পূর্বাঞ্চলের বিপক্ষে ১৩০ রান করেছেন তুষার।
যেখানে শেষ করেছিলেন, তিন মাসের লম্বা বিরতির পর সেখান থেকেই শুরু করলেন তুষার ইমরান। ঘরোয়া প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে প্রথম ১০ হাজার রান করার রেকর্ড করেছেন গত জানুয়ারিতে। সেঞ্চুরি সংখ্যাতেও নিজেকে নিয়ে যাচ্ছেন অন্য উচ্চতায়। লম্বা বিরতির আগে বিসিএলের তৃতীয় রাউন্ডে সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন। আজ সিলেটে বিসিএলের চতুর্থ রাউন্ডেও তিন অঙ্কের দেখা পেলেন।
৪৪ রানে ২ উইকেট পড়ে গিয়েছিল প্রাইম ব্যাংক দক্ষিণাঞ্চলের। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে ভালো খেলা ফজলে মাহমুদ ছন্দ ধরে রেখেছেন বিসিএলেও। ফজলেকে নিয়ে তৃতীয় উইকেট জুটিতে তুষার গড়েছেন ১৬৫ রানের জুটি। ৮৯ রানে ফজলে আউট হওয়ার পর ছোট্ট একটা ধাক্কা দক্ষিণাঞ্চলের। ২ উইকেটে ২০৯ থেকে স্কোর হুট করে ৪ উইকেটে ২১৯। তবুও দক্ষিণাঞ্চলের সুযোগ ছিল বড় স্কোর গড়ার, যেহেতু তুষার উইকেটে ছিলেন। আবু জায়েদের বলে তুষার ১৩০ রানে আউট হলে প্রথম দিনটা পুরোপুরি নিজেদের করে নিতে পারেনি দক্ষিণাঞ্চল। দিন শেষে তাদের স্কোর ৭ উইকেটে ২৯৯।
ঘরোয়া প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অনেক দিন ধরেই ধারাবাহিকতার প্রতিচ্ছবি তুষার। জাতীয় লিগ, বিসিএলকে বানিয়ে ফেলেছেন রানের ফোয়ারা ছোটানোর মঞ্চ। জানুয়ারিতে বিসিএল শুরু করেছিলেন সেঞ্চুরি করে। পরের রাউন্ডে ফিফটি পেলেও তৃতীয় রাউন্ডে আবার সেঞ্চুরি। প্রায় তিন মাসের বিরতিতেও ব্যাটে মরচে ধরেনি তাঁর। চতুর্থ রাউন্ডে পেলেন সেঞ্চুরি। বিসিএলের চার ম্যাচে যে পাঁচ ইনিংস খেলেছেন, চারটিতেই পঞ্চাশ পেরোনো ইনিংস খেলেছেন।
এই চারটি পঞ্চাশ পেরোনো ইনিংসের তিনটিই সেঞ্চুরিতে রূপ দিয়ে নির্বাচকদের দুয়ারে কি আরেকবার কড়া নাড়ালেন তুষার? ৩৪ বছর বয়সী এই ব্যাটসম্যান অবশ্য বললেন, ‘এসব নিয়ে চিন্তা করি না। উইকেটে যতক্ষণ থাকি একটাই ভাবনা থাকে শুধু রান করা। দলে যতটা চেষ্টা করি অবদান রাখতে। আজ সেঞ্চুরি পেলেও আফসোস, আউট হয়ে গেছি। শেষ বিকেলে ৩ উইকেট না হারালে দল আরও ভালো অবস্থানে থাকত।’
বগুড়ায় বিসিএলের আরেক ম্যাচে ওয়ালটন মধ্যাঞ্চলের বিপক্ষে প্রথম দিনটা নিজেদের করে নিয়েছে বিসিবি উত্তরাঞ্চল। উদ্বোধনী জুটিতে ২০০ রান যোগ করে মধ্যাঞ্চলকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন সাইফ হাসান-সাদমান ইসলাম। সেঞ্চুরি থেকে মাত্র ৬ রান দূরে থেকে সাইফ আউট হলেও সাদমান ফিরেছেন সেঞ্চুরি করেই। শরিফুল ইসলামের বলে আউট হওয়ার আগে সাদমানের রান ১০৭। দিনশেষে মধ্যাঞ্চলের স্কোর ৩ উইকেটে ২৪৯।