হ্যাগলি ওভালে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে নিউজিল্যান্ডকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে ইংল্যান্ড। গত বিশ্বকাপ ফাইনালের পর প্রথমবারের মতো মুখোমুখি হয়েছিল দুই দল
লর্ডসে সে ম্যাচের পর কেটে গেছে সাড়ে তিন মাস। বাউন্ডারি নিয়মটি নিশ্চয়ই নিউজিল্যান্ড ভুলতে পারেনি? আজ ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হওয়ার সময় হৃদয়ভঙ্গের সে স্মৃতি কিউইদের নিশ্চয়ই মনে পড়েছে। কিন্তু মার্টিন গাপটিল-রস টেলররা সেই শোককে শক্তি বানাতে পারলেন কোথায়! গত বিশ্বকাপ ফাইনালের পর প্রথমবারের মতো ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হয়ে নিউজিল্যান্ড আবারও হেরেছে।
বিশ্বকাপের টাই ফাইনাল কারও ভোলার কথা না। শেষ বলটি হওয়ার পর মনে হয়েছে, কোনো দলই তো হারেনি! দুই দলের নির্ধারিত মোট ১০০ ওভার শেষে টাই, সুপার ওভার শেষেও টাই! এমন ম্যাচে আইসিসির অদ্ভুত বাউন্ডারি নিয়মে হেরেছিল নিউজিল্যান্ড। বিশ্বকাপ না জিতেই বাড়ি ফিরতে হয়েছিল কেন উইলিয়ামসনের দলকে। পরে অবশ্য বাউন্ডারি নিয়ম বাতিল করেছে আইসিসি। কিন্তু তাতে কি আর রক্তক্ষরণ থামে? বিশ্বকাপ জিততে জিততে হেরে যাওয়া বলে কথা!
সেই কষ্ট আজ কিছুটা লাঘবের সুযোগ পেয়েও পারেনি নিউজিল্যান্ড। হারে বরং আরও বাড়ল। হ্যাগলি ওভালে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে আগে ব্যাট করে ৫ উইকেটে ১৫৩ রান তুলেছিল স্বাগতিকেরা। উইলিয়ামসন না থাকায় ব্যাটিংয়ে ঘাটতি টের পেয়েছে কিউইরা। সর্বোচ্চ ৪৪ রান এসেছে টেলরের ব্যাট থেকে।
তাড়া করতে নেমে ইংল্যান্ড জিতেছে হেসেখেলে। জেমস ভিনসের ফিফটি, জনি বেয়ারস্টো ও এয়ুইন মরগানের ত্রিশোর্ধ্ব রানের দুটি ইনিংসে ৯ বল হাতে রেখেই ৭ উইকেটের জয় তুলে নেয় ইংল্যান্ড। ২০২০ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতিটা জয় দিয়েই শুরু করল ওয়ানডের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। পাঁচ ম্যাচ টি–টোয়েন্টি সিরিজে ১-০ ব্যবধানেও এগিয়ে গেল তারা।