কিছুদিনের জন্য ক্রিকেট থেকে দূরে থাকতে চাচ্ছেন অস্ট্রেলিয়ার অলরাউন্ডার গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। মানসিক অবসাদে ভুগছেন তিনি, যে কারণেই এ সিদ্ধান্ত।
ক্রিকেটারদের মানসিক অবসাদ নতুন কিছু না।
মার্কাস ট্রেসকোথিক, জোনাথন ট্রট, স্টিভ হার্মিসন, ম্যাথু হগার্ড, শন টেইট, অ্যান্ড্রু ফ্লিনটফের মতো খেলোয়াড়েরা ক্যারিয়ারের বিভিন্ন সময়ে মানসিক অবসাদে ভুগেছেন। ট্রেসকোথিকের সৌজন্যে তো ক্রিকেট-বিশ্ব বেশ আগেই জেনেছে মানসিক অবসাদ ক্রিকেটারদের একটি রোগ। সেটি বেশ ভয়াবহ, হেলাফেলা করার মতো কিছু না। ট্রেসকোথিক, ট্রটরা এ অবসাদে ভুগেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বলেছেন। ফ্লিনটফ, হার্মিসন ও হগার্ডের মতো কেউ কেউ অবসাদের সঙ্গে লড়েই চালিয়ে গেছেন ক্রিকেট খেলা। আবার কেউ কেউ অবসাদের সঙ্গে লড়াইয়ের জন্য কিছুদিন ক্রিকেট থেকে দূরে থেকেছেন। অস্ট্রেলিয়ার সাবেক পেসার শন টেইট যার মধ্যে অন্যতম।
শন টেইটেরই স্বদেশি একজন এবার জানালেন অবসাদ নিয়ে তাঁর লড়াইয়ের কথা। তিনি অস্ট্রেলিয়ার অলরাউন্ডার গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। মানসিক অবসাদে ভুগতে থাকা এ ক্রিকেটার কিছুদিনের জন্য সব ধরনের ক্রিকেট থেকে বিরতি নিয়েছেন। অবস্থার উন্নতি ঘটলে তিনি আবার ফিরে আসবেন। ফলে চলমান অস্ট্রেলিয়া-শ্রীলঙ্কা টি-টোয়েন্টি সিরিজ থেকেও সরে দাঁড়িয়েছেন তিনি। তাঁর জায়গায় নেওয়া হয়েছে ব্যাটসম্যান ডি'আর্চি শর্টকে—জানিয়েছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া।
ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার মনোবিদ মাইকেল লয়েড জানিয়েছেন, ব্যাপারটা আজকের নয়, ‘গ্লেন ম্যাক্সওয়েল বেশ কিছু দিন ধরেই মানসিক অবসাদে ভুগছিল। তাই সে কিছুদিনের জন্য ক্রিকেটের বাইরে থাকতে চায়। ও নিজের এ সমস্যা খুঁজে বের করার ক্ষেত্রে বেশ সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছে। চিকিৎসক দলের পরামর্শ নিয়েছে।'
ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার ব্যবস্থাপক বেন অলিভার এই কঠিন সময়ে ম্যাক্সওয়েলের পাশে থাকার ঘোষণা দিয়েছেন, ‘খেলোয়াড় ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সুস্থতার গুরুত্ব আমাদের কাছে সবচেয়ে বেশি। গ্লেন আমাদের পূর্ণ সমর্থন পাচ্ছে। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া এ বিষয়ে ক্রিকেট ভিক্টোরিয়ার সঙ্গে একযোগে কাজ করে যাবে, গ্লেনের মানসিক সুস্থতা নিশ্চিত করার জন্য। আশা করি এই কঠিন সময়ে সবাই গ্লেন ও তার পরিবারের পাশে দাঁড়াবেন ও তাদের গোপনীয়তাকে সম্মান জানাবেন। গ্লেন আমাদের ক্রিকেট পরিবারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ। আশা করব, সামনের গ্রীষ্মেই সে যেন ফিরে আসে।'