ব্যাপারটাকে বাংলায় প্রহসন বলা যেতে পারে।
ভারতের হালের সেনসেশন উমরান মালিক। গতির তোড়ে মুগ্ধ করে যাচ্ছেন একের পর এক মানুষকে। যে তালিকায় সাধারণ ক্রিকেটপ্রেমী তো আছেনই, আছেন সাবেক ক্রিকেটাররাও। উমরানের হাত ধরেই শোয়েব আখতার, ব্রেট লি, শন টেইট কিংবা আনরিখ নরকিয়ার আলোচনার টেবিলে ভারতের কেউ বসতে পারবেন, এমনটাই আশা দেশটার মানুষদের।
তবে যে ফরম্যাটে আলো ছড়িয়ে উমরান সবার নজর কেড়েছেন, সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে আইপিএলে আলো ছড়ানো সেই গতিতারকাকে এবার টি-টোয়েন্টি দলে যেন না নেওয়া হয়, সে গুঞ্জনও শুরু হয়ে গেছে। একে প্রহসন বলবেন না তো কী বলবেন!
কিন্তু কেন টি-টোয়েন্টি দলে উমরানের থাকা না থাকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে? ‘দোষ’টা উমরানেরই। শুধু জোরে বল করাই নয়, অকাতরে রান বিলানোর ব্যাপারেও উমরানের ‘সুনাম’ হয়েছে বেশ। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতেই যেমন, চার ওভার বল করে ৫৬ রান দিয়েছেন এই তরুণ। সে ম্যাচে ভারত হেরেছেও ১৭ রানে। আর উমরানের এই রান দেওয়াই চিন্তা বাড়িয়ে দিচ্ছে কয়েকজনের, যাঁদের মধ্যে আছেন সাবেক ভারতীয় পেসার মদল লাল।
ভারতের নির্বাচকদের প্রতি মদন লালের পরামর্শ , ‘ওকে টি-টোয়েন্টির দলে নেবেন না। ওকে দিয়ে শুধু টেস্ট খেলান। ওকে টেস্ট খেলিয়ে আগে পাকাপোক্ত করুন। ও অনেক ভালো বোলার, কিন্তু ওকে আগে পরিপক্ক বোলার বানাতে হবে। ওকে আগে টেস্টে সুযোগ দিন, যেখানে ও টানা ১০-১৫ ওভার বল করে উইকেট নেওয়ার কলাকৌশল রপ্ত করতে পারবে।’
মদন লালের মতে, গতি দিয়ে লাভ নেই যদি বলে মুভমেন্ট না থাকে, ‘টি-টোয়েন্টিতে ব্যাটসম্যানরা প্রথম থেকেই প্রস্তুত থাকে। ওকেই সবাই মারতে চায়। ওর বলগুলো ব্যাটসম্যানদের ব্যাটে সরাসরি যাচ্ছিল। আমি আগেও বলেছি, বলে যদি মুভমেন্ট না থাকে, শুধু গতি দিয়ে কিছু হবে না। আমি নির্বাচক হলে ওকে টি-টোয়েন্টিতে নিতাম না।’