>ওয়ানডে সুপার লিগের প্রথম ম্যাচে ১৭২ রানে অলআউট আয়ারল্যান্ড।
'জন্মেই দেখি ক্ষুব্ধ স্বদেশভূমি!'
কার্টিস ক্যামফের যদি সুকান্তের অসাধারণ এই লাইনটি পড়ে নাও থাকেন, আজ নিশ্চয়ই বারবার অনুভব করেছেন সেটা। ওয়ানডেতে আজই অভিষেক। সেটাও কিনা বিশ্বকাপের জন্য মহামূল্যবান হয়ে ওঠা সুপার লিগের প্রথম ম্যাচ। এমন ম্যাচেই সাত নম্বর ব্যাটসম্যান হিসেবে যখন নামলেন, দলের রান তখন মোটে ২৮!
পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ শুরু এক সপ্তাহেরও কম সময়ে। তাই দ্বিতীয় সেরা বোলিং নিয়েই নেমেছিল ইংল্যান্ড। তবু প্রথম ওভারেই পল স্টারলিং বিদায় নিয়েছেন। তৃতীয় ওভারেই অধিনায়ক ব্যালবারনি। সেটা ২৮ রানে ওঠার পর ধসই নামল আইরিশ ইনিংসে। স্কোরে কোনো নড়চড় হওয়ার আগেই ২৮/২ থেকে হয়ে গেল ২৮/৫! অভিজ্ঞতার ঝুড়ি নিয়ে অন্য প্রান্তে থাকা কেভিন ও' ব্রায়ান আশ্বস্ত করলেন ক্যামফেরকে। ইতিবাচক ক্রিকেটে দুজনে মিলে ৫১ রান এনে দেওয়ার পরই ধৈর্যচ্যুতি ও'ব্রায়ানের। আদিল রশিদের ওপর চড়াও হতে গিয়ে বিদায় বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অন্যতম সেরা এক সেঞ্চুরির মালিক (২৮ রান)।
৭৯/৫ থেকে ৭৯/৭ হতে লাগল ৫ বল। ৪ বল খেলে রানআউট হওয়ার আগে স্কোরবোর্ডে কোনো দাগ কাটতে পারেননি সিমি সিং। আবারও ইনিংস গড়ার লড়াইয়ে নামলেন ক্যামফের। ১৩৯ দিন পর ফেরার পর প্রথম ওয়ানডে ইনিংসটা ১৩৯-এর নিচে গুটিয়ে যাওয়ার হাত থেকে বাঁচানোর কৃতিত্ব অবশ্য অ্যান্ডি ম্যাকব্রাইনের। এই অফ স্পিনার স্রোতের বিপরীতে ৪৮ বলে ৪০ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলে বিদায় নিয়েছেন দলের ১৪৫ রানে। বাকি দুই সঙ্গীকে নিয়ে দলকে ১৭২ পর্যন্ত টানতে পেরেছেন ক্যামফের। ৫৯ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত ছিলেন অভিষিক্ত এই অলরাউন্ডার। পরিশ্রমী ইনিংসে খেলেছেন এর দ্বিগুন বলে। চারটি চারও ছিল এ ইনিংসে।