তামিলনাড়ু প্রিমিয়ার লিগ ও কর্ণাটক প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচ পাতানো ও স্পট ফিক্সিংয়ের খবর ঝড় তুলেছে ভারতে। এর মাঝেই আইপিএল খেলা দুই ক্রিকেটারকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। এর মাঝেই নতুন খবর এসেছে। এ বছর ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (সিপিএল) মাঝপথে এক ভারতীয় মালিককে দেশে পাঠানো হয়েছিল। কারণ আইসিসির দুর্নীতি-দমন বিভাগের নজরে পড়ে গিয়েছিলেন তিনি।
ব্যাঙ্গালোর মিরর প্রকাশ করেছে এ সংবাদ। সিপিএলের ওই দলের মালিকানার সঙ্গে কিছুদিন আগেই যুক্ত হয়েছিলেন এই ব্যক্তি। দক্ষিণ ভারতের এই মালিককে সিপিএলের মাঝপথে দেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কারণ, টুর্নামেন্টের শুরুতে এক ক্রিকেটারকে অনৈতিক প্রস্তাব দেওয়ার খবর পেয়েছিল দুর্নীতি দমন-বিভাগ। খবরে জানানো হয়েছে, মালিকপক্ষের এই লোক নাকি এক পাকিস্তানি ক্রিকেটারকে প্রস্তাব দিয়েছিলেন। কিন্তু পাকিস্তানি খেলোয়াড় সে প্রস্তাব সঙ্গে সঙ্গে দুর্নীতি-দমন বিভাগকে জানিয়ে দিয়েছে।
এ ব্যাপারে সিপিএল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল। কিন্তু তদন্তাধীন এক ব্যাপারে এখনই কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি তারা। এক বিবৃতিতে সিপিএল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দুর্নীতি-দমন বিষয়ে কোনো মন্তব্য আমরা করি না তাই এ ব্যাপারেও কোনো মন্তব্য করা হবে না। আপনাদের অবগতের জন্য জানানো হচ্ছে, সিপিএল আইসিসি এবং আমাদের নিজস্ব দুর্নীতি-দমন দলের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করে। খেলোয়াড় ও কর্মকর্তাদের সব রিপোর্ট খুব ভালোভাবেই তদন্ত করা হয়।
সিপিএলের কোন ভারতীয় মালিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ সেটা এখনো নিশ্চিত করে বলা হয়নি। তবে অনেক ভারতীয়ই সিপিএলের সঙ্গে জড়িত। শাহরুখ খান ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্সের মালিক। বার্বাডোজ ট্রাইডেন্টের মালিকানাতেও বিজয় মালিয়া ছিলেন। এ মৌসুমেই মালিকানা বদল হয়েছে বার্বাডোজের।