কুয়ালালামপুরে মেয়েদের এশিয়া কাপ ফাইনালে বোলিংটা ভালোই হয়েছে বাংলাদেশের। প্রথমবারের মতো এশিয়া কাপ জিতে ইতিহাস গড়তে সালমাদের করতে হবে ১১৩। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১১২ রানে থেমেছে ভারত।
গ্রুপ পর্বেই ভারতের ১৪২ রানের লক্ষ্য টপকে গেছেন বাংলাদেশের মেয়েরা। ফাইনালে সেই ভারতের বিপক্ষেই ১১৩ রানের লক্ষ্যটা রুমানাদের জন্য খুব কঠিন হওয়া কথা নয়। তবে ব্যাটিংয়ে ভালো শুরুর ওপর অনেক কিছুই নির্ভর করছে। ফাইনালটা জিততে পারলে অনন্য এক ইতিহাসই গড়বেন মেয়েরা। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দ্বিপক্ষীয় সিরিজের বাইরে কখনো কোনো শিরোপা জেতেনি বাংলাদেশ, সেটি ছেলেদের ক্রিকেট হোক কিংবা মেয়েদের। দীর্ঘ এই শিরোপা-শূন্যতা দূর করার সুযোগ রয়েছে রুমানা-ফারজানাদের।
টসে জিতে বোলিংয়ে নেমে চতুর্থ ওভারেই ভারতীয় ওপেনার স্মৃতি মন্দনাকে (৭) রানআউট করেন সালমা। ভারতের রানের চাকাও শুরুতে ভালোই আটকে রাখে বাংলাদেশ। প্রথম ৫ ওভারের মধ্যে ২৩টি বল ‘ডট’ দিয়েছে বোলারেরা। রান তোলার চাপে পড়ে সপ্তম ওভারে দীপ্তি শর্মাকেও (৪) হারায় ভারত। তাঁকে সরাসরি বোল্ড করেন জাহানারা। ভারতের স্কোর তখন ৬.৪ ওভারে ২ উইকেটে ২৬। এখান থেকে ৬ রানের ব্যবধানে ভারতের আরও ২টি উইকেট তুলে নিয়েছে মেয়েরা। সাত, আট ও নয়—এই তিন ওভারে ৩ উইকেট হারায় ভারত।
দীপ্তি ফিরে যাওয়ার পরের ওভারেই ওপেনার মিতালি রাজকে (১১) তুলে নেন খাদিজা। নবম ওভারে আনজুয়া পাতিল (৩) আউট হয়েছেন নিজের কৃতকর্মের মাশুল গোনে। ৮.২ ওভারে রান নিতে গিয়ে নিজের প্রান্তে ফেরার সময় উইকেটরক্ষকের থ্রো দেখে তিনি উইকেট ঢেকে দৌড়ান। সালমারা ‘অবস্ট্রাক্টিং দ্য ফিল্ড’ আউটের আবেদন করলে টেলিভিশন রিপ্লে দেখে আউট ঘোষণা করেন থার্ড আম্পায়ার। ১৩তম ওভারে ভেদা কৃঞ্চমূর্তিকেও তুলে নেন অধিনায়ক সালমা। তাঁকে বোল্ড আউট করেন এই স্পিনার।
১৫তম ওভারে একাই ২ উইকেট তুলে নেন রুমানা আহমেদ। দ্বিতীয় বলে তাঁকে ডাউন দ্য উইকেট এসে উড়িয়ে মারতে গিয়ে স্টাম্পিংয়ের শিকার হন তানিয়া ভাটিয়া (৩)। তিন বল পর শিখা পাণ্ডেকে (১) শামীমা সুলতানার ক্যাচে পরিণত করেন রুমানা। খাদিজার করা শেষ ওভারের প্রথম বলে রানআউটের শিকার হন ভারতের পেসার ঝুলন গোস্বামী। সতীর্থরা এক প্রান্তে তেমন ভালো করতে না পারলেও দলের ইনিংসটা বলতে গেলে একাই টেনেছেন ভারতের অধিনায়ক হারমনপ্রীত কাউর। ৪১ বলে ৫৬ রানের ইনিংস খেলেন তিনি।
বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে সফল খাদিজা ও রুমানা। দুজনেই ২টি করে উইকেট নেন। তবে ভারতের রানের চাকা আটকে রাখায় দারুণ অবদান রেখেছেন নাহিদা আক্তার ও সালমা খাতুন। ১ উইকেট নেওয়া সালমা ১৩টি ‘ডট’ দিয়েছেন। নাহিদা উইকেট না পেলেও ১৬টি ‘ডট’ দিয়েছেন।