>বিশ্বকাপের আগে অস্ট্রেলিয়ার প্রস্তুতি ম্যাচে দুর্দান্ত ফর্মে স্টিভ স্মিথ
বল টেম্পারিং করে পাওয়া সাজা খেটে ক্রিকেটে ফিরেছেন আইপিএল দিয়ে। সেখানে ১২ ম্যাচে তিন ফিফটি দিয়ে স্টিভ স্মিথকে বিচার করলে ভুল করবেন। অস্ট্রেলিয়ার জার্সিতে স্মিথ কেমন করেন, সেই বিধ্বংসী ফর্মে ফিরতে পারেন কি না, সেটাই ছিল দেখার বিষয়। ২০১৯ বিশ্বকাপের আগে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে তা ভালোই দেখালেন স্মিথ। তিন ম্যাচের দুটিতেই সেঞ্চুরির সুবাস ছড়িয়ে বিশ্বকাপে প্রতিপক্ষ দলগুলোকে স্মিথ যেন বার্তা দিলেন, সাবধান, আমি আগের মতোই আছি!
নিউজিল্যান্ড একাদশের অস্ট্রেলিয়া সফর দিয়ে জাতীয় দলের জার্সিতে ডেভিড ওয়ার্নারের সঙ্গে ফিরেছেন স্মিথও। ওয়ানডে সংস্করণে তিন ম্যাচের এই সিরিজে ওয়ার্নার (৩৯, ০, ২) ভালো করতে পারেননি। কিন্তু স্মিথ রয়েছেন উত্তুঙ্গ ফর্মে। প্রথম ম্যাচে ২২ রানের ইনিংসে তা বোঝা যায়নি। পরের ম্যাচে ৭৭ বলে খেললেন ৮৯ রানের অপরাজিত ইনিংস। ৪ ছক্কা ও ৪ চারের এই ইনিংস দিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে একাই ৫০ ওভার পর্যন্ত টেনেছেন স্মিথ। আজ তৃতীয় ও শেষ ম্যাচেও তা-ই দেখা গেল। মাঠে ছিলেন অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসের শেষ পর্যন্ত, জিতেছে তাঁর দলও।
দ্বিতীয় ম্যাচে আগে ব্যাট করেছে অস্ট্রেলিয়া। ওভার শেষ হয়ে যাওয়ায় সে ম্যাচে সেঞ্চুরির দেখা পাননি স্মিথ। আজও তাঁর কপাল খারাপ। আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৯ উইকেটে ২৮৬ রান তুলেছিল নিউজিল্যান্ড একাদশ। তাড়া করতে নেমে অস্ট্রেলিয়াকে ৫ উইকেটে জেতানোর পথে ৯১ রানে অপরাজিত ছিলেন স্মিথ। ১০৮ বলের এই ইনিংসে রয়েছে ১০টি চারের মার। বোঝাই যাচ্ছে, ক্রিকেটের বিখ্যাত হলুদ জার্সি গায়ে চাপিয়ে স্মিথের আগের সেই অধিনায়কসুলভ মানসিকতাটা এখনো অটুট—দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়তে চান, সেটি যেকোনো মূল্যে, তাও বোঝা গেল ৩২তম ওভারে।
স্মিথ তখন ৬৩ রানে ব্যাট করছিলেন। শর্ট থার্ড ম্যানে বল ঠেলে সিঙ্গেল চুরি করতে পড়িমড়ি করে ছুটলেন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক এ অধিনায়ক। রানআউটের কোনো সুযোগ ছিল না। কিন্তু অবচেতন মনে ভীষণ ‘সিরিয়াস’ থাকলে যা হয় আরকি, পড়িমড়ি করে ছুটে ক্রিজে ব্যাট প্লেস করার সময় হালকা চোট পেলেন ডান কনুইয়ে। চলতি বছরের শুরুতে এই কনুইয়ে চোট পেয়েই বিপিএল থেকে দেশে ফিরে অস্ত্রোপচার করিয়েছিলেন স্মিথ। বিশ্বকাপের আগে তাঁর এই চোট পুরোপুরি সারবে কি না, তা নিয়েও সন্দেহ ছিল। কিছুটা ঝুঁকি নিয়েই খেলেছেন আইপিএলে।
সে যা-ই হোক, কনুইয়ে হালকা ব্যথা পাওয়ায় পরের ওভারে ফিজিও এসে তা পর্যবেক্ষণ করেছেন। হাতে আরও ব্যান্ডেজ জড়িয়ে এরপর ব্যাটিং চালিয়ে যান স্মিথ। বল টেম্পারিংয়ের কলঙ্কমোচনে জাতীয় দলে ফিরেই স্মিথের এই নিবেদনটুকু প্রতিপক্ষ দলগুলোর মাথাব্যথার কারণ হতে পারে বিশ্বকাপে। সাবধান, কলঙ্কমোচনের লক্ষ্য নিয়ে জাতীয় দলে ফেরা এই স্মিথের কিন্তু আরও ভয়ংকর হয়ে ওঠার কথা!