>আঙুলের চোট থেকে সেরে উঠতে অস্ত্রোপচার করাতেই হবে সাকিবের। অস্ত্রোপচারের পর প্রত্যাশিত সময়ের মধ্যে সেরেও ওঠেন, তিনি নিজেই জানিয়েছেন, চোট পাওয়া আঙুলটা আর আগের জায়গায় তাঁর ফিরবে না। আঙুল যদি শতভাগ ঠিক না হয়, সেটির প্রভাব পারফরম্যান্সে পড়বে না তো?
বাঁ হাতের কড়ে আঙুলের চোট থেকে সেরে উঠতে অস্ত্রোপচারের বিকল্প নেই সাকিব আল হাসানের। অস্ত্রোপচারের আগে সংক্রমণটা দূর করতে হবে তাঁকে। অস্ত্রোপচার যদি ঠিক সময়ে ঠিকঠাক হয়, প্রত্যাশিত সময়ের মধ্যে সেরেও ওঠেন, সাকিব নিজেই জানিয়েছেন, চোট পাওয়া আঙুলটা আর আগের জায়গায় ফিরবে না। আঙুল যদি শতভাগ ঠিক না হয়, সেটির প্রভাব পারফরম্যান্সে পড়বে না তো, এ প্রশ্নটাও আসছে।
এখনই প্রশ্নটার উত্তর পাওয়া যাবে না। বিষয়টা সময়ের ওপর ছেড়ে দিতে হবে। তবে শরীরের যেকোনো অংশে বড় অস্ত্রোপচারের পর স্বাভাবিকভাবেই আগের জায়গায় ফিরে আসা কঠিন। খেলোয়াড়দের ক্ষেত্রে তো আরও কঠিন। সবচেয়ে বড় উদাহরণ বাংলাদেশ ক্রিকেটেই আছে—মাশরাফি বিন মুর্তজা। ক্যারিয়ারের শুরুতে যেভাবে গতির ঝড় তুলতেন, বারবার শল্যবিদের টেবিলে যাওয়ায় শুরুর সেই গতির সঙ্গে তাঁকে আপস করতে হয়েছে। তবে মানসিকভাবে ভীষণ শক্ত বলে ক্যারিয়ারটা অসময়ে শেষ হতে দেননি। অদম্য সাহস আর আত্মবিশ্বাস নিয়ে এখনো দাপটের সঙ্গে খেলে যাচ্ছেন।
সাবেক অধিনায়ক ও বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান আকরাম খান মনে করেন, মাশরাফির মতো সাকিবও মানসিকভাবে ভীষণ শক্ত । আকরামের আশা, আঙুল শতভাগ ঠিক না হলেও সাকিবের পারফরম্যান্সে সেটির প্রভাব পড়বে না, ‘সাকিব ব্যথা নিয়েই যেভাবে ভালো খেলেছে, সে এক একজন যোদ্ধা। বিশ্বের অনেক বড় বড় খেলোয়াড় চোটে পড়ে খেলাই ছেড়ে দিয়েছে, মাশরাফি সেটা করেনি। সাকিবও লড়াকু। কষ্ট হলেও পারফরম্যান্স সে ধরে রাখবে। গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে মানসিকভাবে বিষয়টা আপনি কীভাবে নিচ্ছেন। ওদের অনেক আগ থেকেই চিনি। তারা মানসিকভাবে শক্ত। আশা করি, আগের জায়গায় তারা ফিরে আসবে।’
সাকিবের এখন সবচেয়ে বড় দুশ্চিন্তা হচ্ছে আঙুলের সংক্রমণ নিয়ে। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত শল্যবিদ অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্তে যাবেন না। সাকিবের হাতের সংক্রমণে দলের ফিজিও থিলান চন্দ্রমোহনের দায় কম নয়। আকরাম আগেও জানিয়েছেন, কেন বাঁহাতি অলরাউন্ডারের হাতে সংক্রমণ হলো, সেটির কারণ জানতে চাইবেন ফিজিওর কাছে। আজ সেটিরই পুনরাবৃত্তি করেছেন বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান, ‘সাকিব ঝুঁকি নিয়ে খেলেছিল এশিয়া কাপে। আলাপ-আলোচনা করেই খেলেছিল। পরে ওর হাত দেখে আমরা ভয়ই পেয়েছিলাম! ইতিবাচক দিক হচ্ছে গুরুতর কিছু হয়নি। ফিজিওর সঙ্গে আমরা কথা বলব। হাতের অবস্থা এত খারাপ হওয়ার পরও সাকিব গিয়েছিল (খেলতে), ব্যাপারটা ফিজিও আগ থেকেই পরিষ্কার করে দিতে পারত। চোট খেলারই অংশ। খেলোয়াড়দের জন্য সেরাটা করার চেষ্টা করব। অস্ত্রোপচারের পর দেখি কী হয়।’
সাকিবের সঙ্গে যোগাযোগ করলে মেলবোর্ন থেকে জানালেন, কাল অস্ট্রেলিয়ান শল্যবিদ গ্রেগ হয়ের সঙ্গে দেখা করার কথা তাঁর।