কাল ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করতে গিয়ে এভাবেই মেজাজ হারান সাকিব আল হাসান।
কাল ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করতে গিয়ে এভাবেই মেজাজ হারান সাকিব আল হাসান।

সাকিব ৪ ম্যাচ নিষিদ্ধ?

আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচে আচরণবিধি ভাঙায় চার ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছেন মোহামেডান অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। প্রথম আলোকে বিষয়টি জানিয়েছে মোহামেডান ক্লাবের একটি সূত্র।

প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মোহামেডানের ক্রিকেট কমিটির প্রধান মাসুদুজ্জামান। তিনি বলেছেন, ‘আমরা সিদ্ধান্ত পাইনি। কিন্তু তাঁরা (বিসিবি আম্পায়ার্স কমিটি) ৪ ম্যাচের প্রস্তাব দিয়েছে।’

গতকাল আবাহনীর বিপক্ষে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের অসন্তোষ জানিয়ে দুই দফা স্টাম্প ভাঙায় সাকিবকে এই শাস্তি দেওয়া হলো।

আবাহনী-মোহামেডানের ম্যাচে নিজের বোলিংয়ের সময় আবাহনীর অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমের বিপক্ষে এলবিডব্লিউর আবেদনে আম্পায়ারের সাড়া না পেয়ে স্টাম্পে লাথি মারেন সাকিব। পরের ওভারেই বৃষ্টি নামলে আম্পায়ার খেলা বন্ধ করলে সাকিব আবারও স্টাম্প উপড়ে ফেলেন।

মেজাজ হারানোর পর ক্ষমাও চেয়েছেন সাকিব।

ড্রেসিংরুমে ফেরার পথে গ্যালারির দিকে তাকিয়ে অশোভন ভঙ্গিও করতে দেখা যায় সাকিবকে। এমন সময় আবাহনীর কোচ খালেদ মাহমুদও ড্রেসিংরুম ছেড়ে বেরিয়ে এগিয়ে যেতে থাকেন মোহামেডানের দিকে।

তেড়ে যেতে দেখা যায় সাকিবকেও। পরে দুজনকে ছাড়িয়ে দেন দুই দলের ক্রিকেটাররা। পরে আবাহনীর ড্রেসিংরুম গিয়ে মাহমুদের কাছে ক্ষমা চান সাকিব।

মাঠের অসদাচরণের জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ক্ষমা চেয়েছেন তিনি, 'প্রিয় ভক্ত ও অনুসারীরা, নিজের মেজাজ হারানোর জন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত। সেই সঙ্গে ম্যাচের আবহ নষ্ট করার জন্য ক্ষমা চাচ্ছি। বিশেষ করে যারা বাড়িতে বসে খেলা দেখছেন। আমার মতো একজন অভিজ্ঞ ক্রিকেটারের কাছে এমন আচরণ কোনোভাবেই কাম্য নয়। কিন্তু মাঝে মাঝে দুর্ভাগ্যবশত এ রকম হয়ে যায়। এই মানবিক ভুলের কারণে আমি দল, ম্যানেজমেন্ট ও টুর্নামেন্টের কমিটির কাছে ক্ষমা চাচ্ছি। আশা করছি ভবিষ্যতে আর এমনটা হবে না। ধন্যবাদ, সবার জন্য ভালোবাসা।'

কাল আবাহনী–মোহামেডান ম্যাচে দুবার আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানান সাকিব।

কদিন আগে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের জৈব সুরক্ষাবলয় ভেঙে ক্ষমা চেয়েছিলেন সাকিব। এর আগেও ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সাকিবের একাধিকবার শৃঙ্খলাভঙ্গের ঘটনা আছে। সেগুলোর জন্য তিনি বিভিন্ন সময় শাস্তিও পেয়েছেন।