>সিপিএলে দ্বিতীয় শিরোপার দেখা পেলেন সাকিব আল হাসান। কাল রাতে ফাইনালে গায়ানা আমাজন ওয়ারিয়র্সকে ২৭ রানে হারিয়েছে বারবোজ ট্রাইডেন্টস। এর আগে জ্যামাইকা তালওয়াসের হয়ে শিরোপা জিতেছিলেন সাকিব
সাকিব আল হাসানকে এখন সৌভাগ্য বাহকও বলা যায়। বাংলাদেশের এ অলরাউন্ডার ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জে যাওয়ার আগে বারবাডোজ ট্রাইডেন্টসের শেষ চারে ওঠা নিয়েই সংশয় ছিল। সাকিব যাওয়ার পর থেকেই জিততে শুরু করে বারবাডোজ। এত ধারাবাহিক যে ফাইনালেই উঠে গেল, এরপর শিরোপাও!
কাল রাতে সিপিএল ফাইনালে গায়ানা আমাজন ওয়ারিয়র্সের মুখোমুখি হয়েছিল বারবাডোজ। ফাইনালে ওঠার আগে সাকিবদের প্রতিপক্ষ এ টুর্নামেন্টে কোনো ম্যাচই হারেনি। জিতেছে টানা ১১ ম্যাচ। এমন প্রতিপক্ষ পেয়েও ভীষণ আশাবাদী ছিলেন সাকিব। ফাইনালে মাঠে নামার আগে প্রথম আলোকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সাকিব বলেছিলেন, ‘অনেক সময় দেখা যায় পুরো টুর্নামেন্টে দুর্দান্ত খেলে ফাইনালে ওঠা দলই শিরোপা হারে। আশা করি ফাইনালের এটা কাজে লাগিয়ে ওদের হারাব! গায়ানা আগেও অনেকবার (সিপিএলে সবচেয়ে বেশি চারবার) ফাইনাল খেলেছে এবং প্রতিবারই হেরেছে। ফাইনালে হারার নাম আছে ওদের।’
শেষ পর্যন্ত কিন্তু সাকিবের কথাই সত্যি হয়েছে। ফাইনালে গায়ানা আমাজনকে ২৭ রানে হারিয়ে সিপিএলে নিজেদের দ্বিতীয় শিরোপা তুলে নিয়েছে বারবাডোজ। আগে ব্যাট করে ৬ উইকেটে ১৭১ রান তুলেছিল দলটি। তাড়া করতে নেমে পুরো ২০ ওভার খেলতে পারলেও থেমেছে ৯ উইকেটে ১৪৪ রান তুলে। ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (সিপিএল) এর আগে ২০১৬ সালে জ্যামাইকা তালওয়াসের হয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন সাকিব। এবার দেখা পেলেন দ্বিতীয় শিরোপার।
ফাইনালে বারবাডোজের হয়ে একটু নিচে ব্যাট করেছেন সাকিব। আগের তিন ম্যাচে তিনে ব্যাট করতে নেমে সেভাবে রান পাননি। সেজন্যই বোধ হয় ফাইনালে পাঁচে নামানো হয়েছিল সাকিবকে। জনসন চার্লস আউট হয়ে ১০ম ওভারে ব্যাট করতে নামেন সাকিব। ১৫ বলে ১৫ রান তুলে শুরুটাও পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ১৫তম ওভারে জোনাথন কার্টারের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট হতে হয়ে তাঁকে। দুই রান নিতে গিয়ে পিচের প্রায় অর্ধেকটা পথ পেরিয়ে গিয়েছিলেন সাকিব। কার্টার তাঁকে ফেরত পাঠানোয় রান আউট হওয়ার ক্ষোভ নিয়ে মাঠ ছেড়েছেন বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক। শেষ পর্যন্ত কার্টারের ২৭ বলে ৫০ রানের অপরাজিত ইনিংসেই লড়াকু সংগ্রহ পেয়ে যায় বারবাডোজ।
গায়ানার ইনিংসে পঞ্চম ওভারে বোলিংয়ে এসে ৫ রান দেন সাকিব। এরপর তাঁকে বোলিং আনা হয় ১৭তম ওভারে। জয় থেকে গায়ানা তখন ২৪ বলে ৬৭ রানের দূরত্বে। হাতে ৪ উইকেট। ওই ওভারে ১৩ রান দেন সাকিব। ২ ওভারে ১৮ রান দিয়ে কোনো উইকেট পাননি তিনি। গায়ানার ইনিংসে সর্বোচ্চ ৪৩ রান ব্রান্ডন কিংয়ের।