মাত্রই চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের নেটে এলেন সাকিব আল হাসান। গার্ড নেওয়ার জন্য উইকেটের ওপর প্রান্তে দাঁড়িয়ে থাকা ব্যাটিং কোচ জন লুইসের সাহায্য দরকার তাঁর। কিন্তু সাকিব কী বলে ব্যাটিং কোচকে ডাকবেন বুঝতে পারছিলেন না। কারণ, কোচের নামই যে জানা ছিল না তাঁর!
পাশেই নেটেই ব্যাটিং করছিলেন তরুণ ব্যাটসম্যান নাজমুল হোসেন। উপায় না দেখে নাজমুলকে সাকিবের প্রশ্ন, ‘ব্যাটিং কোচের নাম কী রে?’ এরপর নাজমুলের নামটা বলে দিলে কোচকে সম্বোধন করার উপায় খুঁজে পান তিনি, ‘জন! লেগ স্টাম্প প্লিজ!’ মজাটা সেখানে থামেনি। লুইস লেগ স্টাম্প গার্ড দেখিয়ে দেওয়ার পরও সাকিব কেন যেন তাঁকে বিশ্বাসীই করছিলেন না, ‘তোমাকে আমার বিশ্বাস হয় না। যদিও আমার তোমাকে বিশ্বাস করা ছাড়া উপায় নেই।’ সাকিব মুখে ঠাট্টার সুরে বললেন। মজা করে লুইসও উত্তরে বলেন, ‘কেন তুমি আমাকে বিশ্বাস করছ না?’
খুব বেশি দিন হয়নি বাংলাদেশ দলের ব্যাটিং পরামর্শক হয়েছেন লুইস। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ শুরুর আগে থেকেই জাতীয় দলের সঙ্গে কাজ করে আসছেন ইংলিশ এই কোচ। হয়তো এই কদিনে সাকিব ব্যাটিং কোচকে ঠিকমতো চিনে উঠতে পারেননি, অথবা তাঁর নাম মুখস্থ করে ফেলতে পারেননি। তা না হলে কোচের নাম জানতে নাজমুলকে জিজ্ঞেস করতে হবে কেন?
এরপর অবশ্য নেটে সিরিয়াসই ছিলেন সাকিব। প্রথমে পেস বোলিংয়ের বিপক্ষে এক-দুই রানের অনুশীলন; তাসকিন আহমেদ, হাসান মাহমুদরা নেটে বোলিং করে গিয়েছেন সাকিবকে। পরে সাকিব যোগ দেন স্পিনারদের নেটে। মেহেদী হাসান মিরাজ, মেহেদী হাসান, তাইজুল ইসলাম ও আফিফ হোসেনের বিপক্ষে ডানে-বাঁয়ে বল ফেলে এক-দুই রানের অনুশীলন করেন। এরপর যত সময় গড়িয়েছে, ব্যাট হাতে সাবলীলই দেখিয়েছে তাঁকে। শেষের দিকে গিয়ে শট খেলার অনুশীলন করেছেন।
চট্টগ্রামে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে আগামীকাল সোমবার সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। ঢাকার প্রথম দুই ওয়ানডে দিয়েই সিরিজ জয় নিশ্চিত হয়ে গেছে বাংলাদেশের।