আইপিএল খেলতে বিসিবির কাছ থেকে ছুটি নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন সাকিব আল হাসান। বিসিবিও তখন বলেছিল, সাকিব টেস্ট খেলতে চান না। এ নিয়ে এত দিন চুপ থাকলেও কাল রাতে এক ফেসবুক লাইভ সাক্ষাৎকারে সাকিব পাল্টা দাবি করেছেন, টেস্ট খেলতে না চাওয়ার কথা তিনি বিসিবিকে বলেননি। সাকিবের ধারণা, বিসিবি হয়তো তাঁর চিঠি ঠিকভাবে পড়েইনি।
সাকিবের এই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানতে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসানকে আজ ফোন করা হলেও ফোন ধরেননি তিনি। বিসিবিও নিজ উদ্যোগে এ নিয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি। এ ব্যাপারে বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা প্রধান আকরাম খানের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনিও সরাসরি কিছু বলেননি।
তবে মুঠোফোনে আজ আকরাম খান প্রথম আলোকে বলেন, ‘সাকিবের কথায় অনেকের প্রসঙ্গ এসেছে। বোর্ড সভাপতি এবং বিসিবির হাই পারফরম্যান্স প্রধানের (নাঈমুর রহমান) ব্যাপারেও কথা বলেছে ও। আমরা সবার সঙ্গে আলোচনা করেই এ নিয়ে কথা বলব। তাই এখন আর কোনো মন্তব্য করতে চাচ্ছি না।’
আলোচিত সাক্ষাৎকারে সাকিব বলেছেন, ‘শুধু কথা হচ্ছে আমি টেস্ট খেলতে চাই না। আমি নিশ্চিত বিসিবিকে আমি যখন চিঠি দিয়েছি, যাঁরাই বলছেন যে আমি টেস্ট খেলতে চাই না বা টেস্ট খেলব না, তাঁরা চিঠিটা পড়েননি। আমি আমার চিঠিতে কোথাও উল্লেখ করিনি যে আমি টেস্ট খেলতে চাই না। আমি শুধু উল্লেখ করেছি, আমি বিশ্বকাপ প্রস্তুতির জন্য এই সময়টাতে আইপিএল খেলতে চাই। শুধু এইটুকুই বলেছি।’
জানা গেছে, বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী বরাবর ওই চিঠিতে সাকিব এ বছরের অক্টোবরে ভারতে অনুষ্ঠেয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে লিখেছিলেন, টুর্নামেন্টটা বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আইপিএলে খেলার মাধ্যমে তিনি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য সেরা প্রস্তুতিটা নিতে চান। বিসিবি যেন তাঁকে সে সুযোগ দেয়। এরপর বিসিবি লিখিতভাবেই সাকিবকে আইপিএল খেলার জন্য ছুটি প্রদান করে।
সাকিবের দাবি, তাঁর এই চিঠির ভুল ব্যাখ্যা করেছে বিসিবি। তিনি বলেন, ‘আকরাম ভাই বারবার বলেছেন, আমি খেলতে চাই না। আমার ধারণা, উনি চিঠিটি পড়েননি। আমি পাপন ভাইকে (বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান) ধন্যবাদ দিতে চাই, উনি সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। খেলোয়াড়দের এই স্বাধীনতা দেওয়া উচিত।’
এ ব্যাপারে বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরীও সরাসরি কিছু বলতে রাজি হননি। তবে তিনি মনে করেন, একটি প্রতিষ্ঠানের অংশ থেকে যে কারোরই প্রতিষ্ঠানের ব্যাপারে মন্তব্য করা নিয়ে সতর্ক মনোভাব থাকা উচিত।
একটি সূত্র অবশ্য জানিয়েছে, আজ সন্ধ্যার পর কোনো এক সময় বিষয়টি নিয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনায় বসবেন বিসিবির শীর্ষ কর্তারা। সেটি হতে পারে বিসিবি সভাপতির গুলশানের বাসভবনে।