সেঞ্চুরির পর ইমার্জিং দলের অধিনায়ক সাইফ হাসান
সেঞ্চুরির পর ইমার্জিং দলের অধিনায়ক সাইফ হাসান

সাইফের সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশ ২–০

সিরিজের প্রথম ম্যাচ পরিত্যক্ত ঘোষিত হয় করোনার কারণে। আজ তৃতীয় ম্যাচেও লেগেছিল করোনার ধাক্কা। তবে সেটি মাঠে নয়, আর ম্যাচও পরিত্যক্ত হয়নি। নির্ধারিত সময়ের চেয়ে দুই ঘণ্টা দেরিতে শুরু হওয়া এ ম্যাচে ৬ উইকেটে জিতেছে বাংলাদেশ ইমার্জিং দল। পাঁচ ম্যাচের এই আনঅফিশিয়াল ওয়ানডে সিরিজে ২–০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল সাইফ হাসানের দল।

আয়ারল্যান্ড উলভসের সঙ্গে একই জৈব সুরক্ষাবলয়ে থাকা এক নিরাপত্তাকর্মীর কোভিড-১৯ পরীক্ষায় গতকাল পজিটিভ আসে। নতুন করে ম্যাচ–সংশ্লিষ্ট সবার করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে কালই। এই পরীক্ষায় সবার রিপোর্ট নেগেটিভ আসায় আজ দেরিতে হলেও মাঠে গড়ায় ম্যাচটি।

সফরকারী দলের ৭ উইকেটে ২৬০ রানের পুঁজি টপকে যেতে মোটেও কষ্ট হয়নি ইমার্জিং দলের। জাতীয় দলের তরুণ টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান সাইফ হাসানের সেঞ্চুরিতে ২৭ বল হাতে রেখেই জয় তুলে নেয় ইমার্জিং দল।

১১ চার ও ৫ ছক্কায় ১২৫ বলে ১২০ রানের ইনিংস খেলেন ২ টেস্ট খেলা সাইফ। সর্বশেষ ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজেও স্কোয়াডে ছিলেন তিনি। কিন্তু কোনো ম্যাচ খেলার সুযোগ পাননি।

৩৯.১ ওভারে দলীয় ১৯৫ রানে আউট হন সাইফ, অর্থাৎ তখন পর্যন্ত দলের সিংহভাগ রানই এসেছে সাইফের ব্যাটে। তিনে ও চারে নামা মাহমুদুল হাসান (১৬) ও ইয়াসির আলী (১৩) বেশিক্ষণ দাঁড়াতে পারেননি।

সেঞ্চুরি তুলে নেওয়ার পথে দারুণ কিছু শট খেলেন সাইফ

আরেক ওপেনার তানজীদ হাসানও ১৭ রানে আউট হন। পঞ্চম উইকেটে তৌহিদ হৃদয় ও শামীম হোসেনের ৩৯ বলে অপরাজিত ৬৯ রানের জুটিতে জয় তুলে নেয় ইমার্জিং দল। ৪৩ রানে অপরাজিত ছিলেন তৌহিদ। ৪৪ রানে আরেক প্রান্ত ধরে রেখেছিলেন শামীম।

টস জিতে এর আগে আয়ারল্যান্ড উলভসকে ব্যাটিংয়ে পাঠান ইমার্জিং অধিনায়ক সাইফ। জেমস ম্যাককলাম ছাড়া টপ অর্ডারে আর কোনো ব্যাটসম্যানকে সেভাবে থিতু হতে দেননি ইমার্জিং দলের বোলাররা। রিটয়ার্ড হার্ট হন ম্যাককলাম।

ছয়ে নেমে ৫২ বলে ৮২ রানে অপরাজিত থেকে দলের ইনিংস টেনেছেন লোরকান টাকার। ২ ছক্কা ও ৯ চারে ইনিংসটি সাজান তিনি। ৫৩ রানে ৩ উইকেট নেন ইমার্জিং দলের পেসার মুকিদুল ইসলাম। ১টি করে উইকেট সুমন খান ও তৌহিদ হৃদয়ের।

পাঁচ ম্যাচের এই সিরিজে এগিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ ইমার্জিং দল

এর আগে আইরিশ দলের পেসার রুহান প্রিটোরিয়াস কোভিড–১৯ পজিটিভ হওয়ায় প্রথম ম্যাচটি পরিত্যক্ত হয়। সেদিন আগে ব্যাটিংয়ে নেমেছিল ইমার্জিং দল। ৩০ ওভার খেলা হওয়ার পরপরই প্রিটোরিয়াসের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসায় খেলাটি পরিত্যক্ত হয়। সে সময় বাংলাদেশ ইমার্জিং দল ৪ উইকেটে করেছিল ১২২ রান। রোববার দ্বিতীয় ম্যাচটি ৬ উইকেটে জেতে বাংলাদেশ ইমার্জিং দল।