সাইফউদ্দিনকে নিয়ে ভালোই একটা ধন্দ তৈরি হয়েছে। কদিন আগে বিসিবি যে ৩৫ জনের দল দিয়েছে, সেখানে সাইফউদ্দিন নেই। তবে তরুণ পেস বোলিং অলরাউন্ডার ঠিকই আছেন কন্ডিশনিং ক্যাম্পে। এমন বিভ্রান্তির কারণ কী?
বিসিবির প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন বললেন, ‘চিকিৎসকের দেওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী ঈদের আগে এক রকম অবস্থা ছিল। এখন আরেক রকম। প্রাথমিক দলটা ঈদের আগে জমা দিয়েছিলাম বলে ওখানে সে নেই। এর মাঝে সে অনেকটা সেরে ওঠায় আবার তাকে কন্ডিশনিং ক্যাম্পে ডাকা হয়েছে।’ মিনহাজুল এ–ও জানালেন, কন্ডিশনিং ক্যাম্পে থাকলেও সাইফউদ্দিন আপাতত স্কিল ট্রেনিং করতে পারবেন না। কিন্তু বাংলাদেশ দলের পেস বোলিং অলরাউন্ডার এরই মধ্যে বোলিং অনুশীলন শুরু করেছেন! অবস্থার উন্নতি হলে সামনেও হয়তো স্কিল ট্রেনিং চালিয়ে যাবেন।
সাইফউদ্দিন আফগানিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট কিংবা ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজে থাকবেন কি না, সেটিও পরিষ্কার নয়। বিশ্বকাপে পারফরম্যান্স মন্দ নয়। পারফরম্যান্সের বিচারে সাইফউদ্দিনকে দলের বাইরে রাখা কঠিনই। সমস্যাটা হচ্ছে চোট। দীর্ঘদিন কোমরের পেছনে জটিল এক চোটে ভুগছেন তিনি। কদিন আগে বিসিবি সিদ্ধান্ত নেয়, বায়োমেকানিক্যাল পরীক্ষার জন্য সাইফউদ্দিনকে দেশের বাইরে পাঠানো হবে। কিন্তু সেটিও থমকে আছে আরেক কারণে।
বিসিবির চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী দুদিন আগে বলছিলেন, ‘যেভাবে চিন্তা করেছিলাম বিষয়টা অতটা সহজ নয়। ইংল্যান্ডের ন্যাশনাল স্পোর্টস ইনস্টিটিউট নিজেদের বিষয়গুলো দেখে, বাইরের ক্রিকেট বোর্ডের সমস্যা দেখে না। ওকে পাঠাব, দেখা যাবে এই সার্ভিসটা ওরা দেয় না। ওরা অবশ্য না করেনি। আমাদের বলেছে, বিবেচনায় আছে, অপেক্ষা করুন। আমরা চাইলেই হবে না। ওদেরও চাইতে হবে। এটা কোনো বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান নয় যে পয়সা খরচ করলেই বিষয়টা হয়ে যাচ্ছে। বায়োমেকানিকাল ল্যাব ব্যবহার করে আইসিসি, বোলারের চাকিং ধরতে। এই ল্যাবটাও আইসিসির স্বীকৃতি। ওরা আইসিসির নির্দেশে করে, সেটা আলাদা ব্যাপার। কিন্তু একটা ক্রিকেট বোর্ডের অনুরোধে না–ও করতে পারে। এটা করতে তারা বাধ্যও না। আমরা চাইলেও তাই দ্রুত পাঠাতে পারছি না সাইফউদ্দিনকে। অস্ট্রেলিয়ার ক্যানবেরায় ইনস্টিটিউট অব স্পোর্টসেও আমরা চেষ্টা করছি। দুদিকেই যোগাযোগ রাখছি। ভারতের চেন্নাই তো আছেই। ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়ায় না হলে ভারতে যোগাযোগ করব।’
কন্ডিশনিং ক্যাম্প করলেও আপাতত সাইফউদ্দিনের সময়টা তাই কাটছে চরম অনিশ্চয়তায়। খেলবেন, নাকি চোট সারিয়ে তুলতে যাবেন দেশের বাইরে—কোনোটিই নিশ্চিত নয়। অনিশ্চিত এ জীবনে অপেক্ষা ছাড়া তাঁর আপাতত কিছুই করার নেই।