>ভারত ম্যাচের আগে নিজেদের পরিবারকে কাছে পাচ্ছে সরফরাজ আহমেদের দল। এই সিদ্ধান্তে পিসিবির ওপর খেপেছেন দেশটির হয়ে তিনটি বিশ্বকাপ খেলা মোহাম্মদ ইউসুফ।
সরফরাজ আহমেদের নেতৃত্বে নিজেদের দ্বিতীয় বিশ্বকাপ ক্রিকেট ২০১৯ জয়ের স্বপ্ন দেখছে পাকিস্তান। লম্বা টুর্নামেন্টের জন্য খেলোয়াড়দের স্ত্রী-সন্তানকেও ইংল্যান্ডে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। এমন সিদ্ধান্তের কারণে বোর্ডকে এক কথায় ধুয়ে দিয়েছেন মোহাম্মদ ইউসুফ। বিশেষ করে ভারত ম্যাচের আগেও খেলোয়াড়দের সঙ্গে পরিবার রাখতে দেওয়ার সিদ্ধান্তকে কিছুতেই সমর্থন করতে পারছেন না ইউসুফ।
পাকিস্তানের হয়ে তিনটি বিশ্বকাপে অংশ নিয়েছেন ইউসুফ। কিন্তু কখনোই নিজের পরিবারকে সঙ্গে রাখার অনুমতি পাননি। সরফরাজদের এমন অনুমতি দেওয়ায় পিসিবিকে একহাত নিয়েছেন দেশটির সাবেক এই অধিনায়ক, ‘আমি ১৯৯৯, ২০০৩ ও ২০০৭ বিশ্বকাপ দলের অংশ ছিলাম। কিন্তু বোর্ড কখনোই টুর্নামেন্ট চলাকালে খেলোয়াড়দের পরিবার সঙ্গে রাখার অনুমতি দেয়নি। বিশেষ করে ১৯৯৯ বিশ্বকাপের দলে এতগুলো বড় বড় নাম ছিল, আমরা চাইলেই একই হোটেলে আমাদের স্ত্রী-সন্তানদের থাকতে দেওয়ার ব্যাপারে বোর্ডের ওপর চাপ দিতে পারতাম। কিন্তু আমরা তা করিনি। কারণ,, বিশ্বকাপের মতো আসরে খেলোয়াড়দের মনোযোগ কেবল ক্রিকেটেই থাকা উচিত।’
পাকিস্তানের হয়ে ৯০টি টেস্ট ও ২৮৮টি ওয়ানডে খেলা ইউসুফ বলেছেন, শুধু বিশ্বকাপ নয়, তাঁদের সময় বিদেশের মাটিতে কোনো ওয়ানডে সিরিজ বা টুর্নামেন্টের সময়েও পরিবার সঙ্গে রাখার অনুমতি দিত না বোর্ড, ‘বিদেশে কেবল টেস্ট ম্যাচের সময় পরিবারকে কাছে পেতাম আমরা। কারণ, তখন একটি শহরে অন্তত এক সপ্তাহ থাকতেই হতো। যে কারণে পরিবার রাখতে দেওয়ার সিদ্ধান্তটাও যৌক্তিক হতো।’
বিশেষ করে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের আগে পরিবারের সান্নিধ্য পাবেন খেলোয়াড়েরা, এটা যেন মানতেই পারছেন না ইউসুফ, ‘নিতান্তই দরকার হলে টুর্নামেন্টের শুরুর দিকে পরিবারকে সঙ্গে রাখার অনুমতি দিতে পারত পিসিবি। কিন্তু ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের আগে এমন সিদ্ধান্ত কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।’ বড় ম্যাচের আগে পরিবারকে কাছে পেলে ক্রিকেট থেকে খেলোয়াড়দের মন সরে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন ইউসুফ। সে ক্ষেত্রে আরও একবার বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে ফলবিপর্যয় হতে পারে, এমনটা ভেবে শঙ্কিত ইউসুফ।
শুরুতে খেলোয়াড়দের পরিবারকে সঙ্গে রাখার অনুমতি দেয়নি পিসিবি। পরবর্তী সময়ে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচের পর সিদ্ধান্ত পাল্টায় পিসিবি। ফলে, পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা এখন পরিবারকে নিজেদের সঙ্গে টিম হোটেলেই রাখতে পারছেন।