৪–১–১৩–৪। এই হলো দীপক চাহারের জবাব।
ধরুন, টি–টোয়েন্টি ম্যাচ খেলতে মাঠে নামার আগে কোনো ক্রিকেটপ্রেমীর খুদে বার্তা পেলেন। আগের ম্যাচে প্রত্যাশামতো পারফরম্যান্স ছিল না। এ কারণে মাঠে নামতে আপনাকে নিষেধ করলেন সেই ক্রিকেটপ্রেমী। সোজা কথায়, ‘খেলো না।’ এমন খুদে বার্তা পাওয়ার পর একজন ক্রিকেটারের মনের অবস্থা কী হতে পারে?
অহমে লাগে, জিদ চেপে যায়? দীপক চাহারের ক্ষেত্রেও সম্ভবত এমন কিছু ঘটেছিল। আর তাই চেন্নাই সুপার কিংস পেসার কাল ওই বোলিং করার পর সেই ক্রিকেটপ্রেমীর প্রতি চাহার বলেছেন, ‘এই পারফরম্যান্স তোমার জন্য!’
দীপকের ক্ষেত্রে এ ঘটনাই ঘটেছে। পাঞ্জাব কিংসকে ৬ উইকেটে হারানোর পর সতীর্থ শার্দুল ঠাকুরের সঙ্গে আলাপচারিতায় ঘটনাটি জানান ভারতের হয়ে ৩ ওয়ানডে ও ১৩ টি–টোয়েন্টি খেলা পেসার। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক ভক্ত নাকি তাঁকে পাঞ্জাবের বিপক্ষে মাঠে নামতে নিষেধ করেছিলেন।
আইপিএলের ওয়েবসাইটে আলাপচারিতার ভিডিওটি পোস্ট করা হয়। চাহার সেখানে বলেন, ‘হোটেলে নিজের কামরায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম দেখছিলাম। এক ছেলে আমাকে খুদে বার্তা পাঠায়, “ভাই, আপনি খুব ভালো বোলার কিন্তু পরের ম্যাচে খেলবেন না।”’
পাঞ্জাবের মুখোমুখি হওয়ার আগে দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে মাঠে নেমেছিল চেন্নাই। সে ম্যাচে ৪ ওভারে ৩৬ রান দিয়ে উইকেটশূন্য ছিলেন ডানহাতি এ পেসার। ম্যাচটি ৭ উইকেটে জিতেছিল দিল্লি। চাহারের পারফরম্যান্স প্রত্যাশামতো না হওয়ায় তাঁকে পাঞ্জাব ম্যাচের আগে এমন কথা শুনতে হয় সেই ভক্তের কাছ থেকে।
এরপর পাঞ্জাবের বিপক্ষে ম্যাচসেরা হওয়ার পর চাহার বলেন, ‘সবারই প্রত্যাশা অনেক থাকে। প্রতি ম্যাচেই পারফর্ম করাটা গুরুত্বপূর্ণ। আর তাই এই পারফরম্যান্স আমাকে খুদে বার্তা পাঠানো সেই ব্যক্তির জন্য। আমি না খেললে তো এই পারফরম্যান্স করতে পারতাম না। মাত্র এক ম্যাচের পারফরম্যান্স দেখেই কোনো খেলোয়াড়কে বাজে বলাটা ঠিক নয়। অনুগ্রহ করে সমর্থন দিন।’
ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামের বাইশ গজ থেকে কাল ভালোই সাহায্য পেয়েছেন চাহার। সুইং পেয়েছেন দুই পাশেই। ছন্দে থাকায় পাঞ্জাবের ইনিংসে প্রথম ৭ ওভারের মধ্যেই চাহারের বোলিংয়ের কোটা (৪ ওভার) শেষ করেন চেন্নাই অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি। এ সময়ের মধ্যেই পাঞ্জাবের ব্যাটিং–মেরুদণ্ড ভেঙে দেন চাহার।
মায়াঙ্ক আগারওয়াল, ক্রিস গেইল, দীপক হুদা ও নিকোলাস পুরানকে তুলে নেন তিনি। নিজের বোলিংয়ের কৌশল সম্পর্কে চাহার জানান, পরিকল্পনা তো কম থাকে না। তবে প্রাথমিক কাজটা হলো শুরুতেই সুইং আদায় করে নেওয়া, ‘এই ম্যাচে প্ল্যান বি, সির দরকার হয়নি। প্ল্যান এ–তেই (সুইং) কাজ হয়েছে। দলকে জেতাতে পেরে ভালো লাগছে।’