পাকিস্তানের বিপক্ষে অপ্রত্যাশিত হারের পর ইংল্যান্ড দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। এখন তারা ওয়েস্ট ইন্ডিজের মুখোমুখি হবে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচটি ভেসে যাওয়ায় অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে হারের পর ওয়েস্ট ইন্ডিজ খুব একটা খেলতে পারেনি। তবে বৃষ্টি শুরুর আগে তারা অল্প সময়েই দক্ষিণ আফ্রিকানদের নাচিয়ে ছেড়েছে।
টন্টনে সপ্তাহের বেশির ভাগ সময়ই আকাশ মেঘলা ছিল। পাকিস্তানের বিপক্ষে ভালো একটা শুরুর পর অস্ট্রেলিয়া জয়ের রাস্তা খুঁজে পেয়েছে। পুরো সপ্তাহে এই একটা ম্যাচেই বৃষ্টি বাগড়া দেয়নি। এ ছাড়া বাকি সপ্তাহ ছিল নিরানন্দের।
আজ ইংল্যান্ড ফেবারিট বলে তারা সংক্ষিপ্ত হলেও একটা ম্যাচ চাইবে। দর্শক হিসেবে আমিও সেটা চাই। রাউন্ড রবিন পদ্ধতিতে ১ নম্বরে থেকে গ্রুপ ম্যাচ শেষ করা গুরুত্বপূর্ণ। কারণ তাহলে তারা সেমিফাইনালে ৪ নম্বর দলের মুখোমুখি হতে পারবে। দ্বিতীয় কিংবা তৃতীয় হওয়া দলের বিপক্ষে খেলার চেয়ে এটা তুলনামূলক সহজ হবে। তার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে কেউ জয়ের ধারা ভেঙে ছন্দ হারাতে চাইবে না।
জস বাটলারের নিতম্বের ইনজুরি নিয়ে তারা হয়তো একটু চিন্তিত থাকবে। তাদের জন্য সে খুব গুরুত্বপূর্ণ ব্যাটসম্যান এবং খুব ভালো ব্যাটিং করছে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ চাইবে তাদের ব্যাটসম্যানরা আরেকটু ধারাবাহিকভাবে জ্বলে উঠুক। তাহলে তারা আরও বিধ্বংসী হয়ে উঠবে। এই ২০১৯ বিশ্বকাপের দলগুলোর ব্যাটিং দেখার জন্য সাত সাগর তেরো নদী পাড়ি দেওয়া যায়। প্রতিটি দলেই বিশ্বের সবচেয়ে ভয়ংকর ব্যাটসম্যানদের কেউ না কেউ রয়েছে। তারপরও ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই ব্যাটিং লাইনআপটি অন্যান্য দলের ব্যাটিং লাইনআপ থেকে আলাদা। ওরা প্রথম বলেই ছয় মারার সামর্থ্য বেশি রাখে। আট নম্বরে ব্যাট করা কার্লোস ব্রাফেটের জায়গাটি নিয়ে তাদের কিছু ভাবনার দরকার আছে। ২০১৬ সালে আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে বেন স্টোকসের বলে টানা চার–ছয় মারার পর ব্রাফেট ওই পারফরম্যান্সের ধারেকাছেও কিছুই করেনি। কিছু মাত্র ওভার করানোর জন্য তাঁকে এই জায়গায় নেওয়ার কোনো মানে নেই। কারণ প্রতিপক্ষ দলগুলো ওর ওভারেই মারার চেষ্টা করবে। উইন্ডিজ কেমার রোচকে নিলে এর চেয়ে ভালো করবে। কারণ তাকে নিলে তাদের খুব ভালো চারজন গতিময় বোলার হয়, যারা প্রতিপক্ষ ব্যাটসম্যানদের শ্বাস নেওয়ার সুযোগ দেবে না। রোচের ব্যাটিংটাও মন্দ না, যদিও ব্রাফেটের সামর্থ্যের কাছাকাছিও না। তবে ব্রাফেটও তেমন বিধ্বংসী ব্যাটিং করেনি এখন পর্যন্ত।
ব্রাফেট ওয়েস্ট ইন্ডিজের টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক বলে এটা একটা কঠিন সিদ্ধান্ত। কিন্তু আবারও জয়ের ধারায় ফিরে আসতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের এদিকটায় নজর দিতে হবে।