এশিয়া কাপে বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানের কাছে বড় ব্যবধানে হেরে বিদায় নিয়েছে শ্রীলঙ্কা। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সে দল খুব ভালো করবে এমনটা আশা করেনি কেউ। তার ওপর অযৌক্তিকভাবে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুসকে বাদ দিয়েছেন কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। এমন অবস্থায় ইংল্যান্ডের সামনে বাধা হতে পারত মাত্র দুটো বিষয়। শ্রীলঙ্কার উইকেট ও মৌসুমি বৃষ্টি। নিজেদের স্পিনার দিয়ে উইকেটের ব্যাপারটা সামলে নিয়েছে সফরকারীরা। বৃষ্টির ধরনটা বুঝে নেওয়াতে টানা তিন ম্যাচ জিতে সিরিজও জিতে নিয়েছে ইংল্যান্ড। বৃষ্টি আইনে আজ শ্রীলঙ্কাকে ১৮ রানে হারিয়েছে ইংল্যান্ড।
সিরিজের প্রথম ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ার পর প্রতি ম্যাচেই বাগড়া দিয়েছে প্রকৃতি। কিন্তু প্রতি ম্যাচেই বৃষ্টির কথা মাথায় রেখে উইকেট হাতে রাখার দিকে মন দিয়েছে ইংলিশরা। এ বুদ্ধি কাজে লাগিয়ে প্রতিটি ম্যাচেই দেখা গেছে বৃষ্টি আইনে শ্রীলঙ্কা থেকে অনেক অনেক এগিয়ে ছিল সফরকারীরা। আজ চতুর্থ ওয়ানডেতে ইংল্যান্ডের দিকে ২৭৪ রানের লক্ষ্য ছুড়ে দিয়েছিল শ্রীলঙ্কা। ক্যান্ডির উইকেটে স্পিনারদের সামনে লক্ষ্যটা কঠিন। কিন্তু ইংল্যান্ড এ সিরিজের অন্য ম্যাচগুলোর কথা মাথায় রেখে রান তাড়ায় বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়েছে। রান রেট পাঁচের ওপরে রেখেই সন্তুষ্ট থেকেছে তারা। শুধু উইকেট ধরে রেখে বৃষ্টি আইনের পার স্কোর যেন বেড়ে না যায়, সে চেষ্টা করেছে তারা।
মালিঙ্গার প্রথম ওভারেই দুটো বাউন্ডারি এল বাই থেকে। জেসন রয় এক প্রান্তে রান তুললেন, অন্যপ্রান্তে হেলস ধরে খেলার চেষ্টা করলেন। তবু ধনঞ্জয়ার স্পিনের শিকার হয়ে হেলসই আগে ফিরেছেন। দলকে ৭৬ রানে রেখে রয় ফিরে গেলেও দলের রানরেট পাঁচে ধরে রাখার কাজটা সাফল্যের সঙ্গেই করেছেন রয়। তাঁর ৪৯ বলে ৪৫ রানের ইনিংসের পর দায়িত্ব বুঝে নিয়েছেন এওইন মরগান। ৩৪ বলে তাঁর ৩১ রানই ডি/এল পার স্কোর থেকে সব সময় ইংল্যান্ডকে এগিয়ে রেখেছে।
এর আগে দাসুন শানাকা (৬৬) ও থিসারা পেরেরার (৪৪) দুটো আক্রমণাত্মক ইনিংস ব্যাটিং ধস থেকে বাঁচিয়েছিল শ্রীলঙ্কাকে। নিরোশান ডিকভেলার (৫২) দারুণ শুরুর পরও দেড় শ পেরোনোর পরই ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলেছে স্বাগতিক দল। শানাকা ও পেরেরার পাল্টা আক্রমণ বড় স্কোর এনে দিলেও জয় এনে দিতে যথেষ্ট হয়নি সেটা।
সিরিজের পঞ্চম ও শেষ ম্যাচ মঙ্গলবার।