প্রথম ম্যাচের পর বাঘের গর্জন শুনেছিল বিশ্ব। বিশ্বকাপের অন্যতম ফেবারিট দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে দুর্দান্ত সূচনা করেছিল বাংলাদেশ। আড়ালে আবডালে অনেকে ‘আপসেট’ শব্দটা উচ্চারণ করতে চাইলেও ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে ঠিকই শ্রদ্ধা জুটিয়ে নিয়েছিল বাংলাদেশ।
নিউজিল্যান্ড ম্যাচের পরও সে শ্রদ্ধা কমেনি। বরং ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতা বোলাররা যেভাবে ভুলিয়ে দিয়েছিলেন, আর যেভাবে নিউজিল্যান্ডকে কাঁপিয়ে দিয়েছিলেন তাতে প্রশংসা জুটেছে সবার। তবে এত এত প্রশংসা ও শ্রদ্ধা নিয়ে তৃপ্ত নন মাশরাফি বিন মুর্তজা। ২০১৯ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে পৌঁছাতে এখন যে তাঁর জয় বেশি দরকার।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তিনটি বিভাগেই আত্মসমর্পণ করেছে বাংলাদেশ। এক সাকিব আল হাসান ছাড়া বাংলাদেশের কেউই সুখস্মৃতি খুঁজতে অন্তত এ ম্যাচ দেখতে চাইবেন না। টানা দুই হারে প্রথম দুই ম্যাচের জয়ের স্বাদটাও ভুলে যাওয়ার দশা। আগামীকাল শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে অবশ্য এগিয়ে থেকেই শুরু করবে বাংলাদেশ। সাধারণ দর্শক থেকে বোদ্ধা—সবাই লঙ্কানদের চেয়ে বাংলাদেশকেই এগিয়ে রাখতে চাইছেন।
এমন ম্যাচে পা হড়কালেই সমস্যা। একে তো প্রত্যাশার চাপ এমনিতেই বেশি থাকে। আর এ ম্যাচে হারলে বাংলাদেশের সেমি ফাইনাল খেলার সম্ভাবনাও কমে যাবে অনেক। এমন অবস্থায় প্রতিপক্ষের শ্রদ্ধা নয়, জয়টাই বেশি কাম্য মাশরাফির কাছে। তাই এক সাংবাদিক যখন বললেন ক্রিকেট বিশ্ব দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচের পর বাংলাদেশকে এখন নতুন চোখে দেখছে, তখন মাশরাফি খুব একটা আগ্রহ দেখাননি।
প্রতিপক্ষ শ্রদ্ধা করছে কি না সে আলোচনাতেই আগ্রহ নেই মাশরাফির, ‘আমাকে যদি এ ব্যাপারে প্রশ্ন করতেই চান, তবে বলব কে আমাদের শ্রদ্ধা দেখাচ্ছে কিংবা দেখাচ্ছে না, এ নিয়ে চিন্তিত নই। আমি আমাদের পারফরম্যান্স নিয়েই বেশি চিন্তিত। আমি বরং ম্যাচগুলো যেন জিততে পারি সেটা নিশ্চিত করতে চাই। সেটাই আমাদের কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। শ্রদ্ধা অনেক কিছুর ওপর নির্ভর করে। এক একজনের কাছ এটা এক একরকম। কিন্তু আমার মনে হয় না শ্রদ্ধা ২২ গজে খুব একটা কাজে দেবে। দর্শকের সামনে কীভাবে নিজেদের সামলাতে পারি, কীভাবে খেলি এবং কীভাবে দুই পয়েন্ট জোগাড় করতে পারি, সেটাই গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমানে শ্রদ্ধার চেয়ে ওটাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ।’