>ডি ভিলিয়ার্স শেষ চার শুরু হওয়ার আগে ফিরে যাবেন দেশে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়া প্রোটিয়া বিধ্বংসী ব্যাটসম্যান চাইলে তো পুরো টুর্নামেন্ট খেলে যেতে পারতেন। কিন্তু কেন খেলছেন না, কাল সেটিই বললেন
প্রথমবারের মতো বিপিএল খেলতে আসা এবি ডি ভিলিয়ার্স রংপুর রাইডার্সে যোগ দিলেন টুর্নামেন্ট শুরু হওয়ার বেশ পরে, সিলেট পর্বে। চলেও যাবেন শেষ চারের ম্যাচ শুরু হওয়ার আগে। ডি ভিলিয়ার্স কি চাইলে পারতেন না পুরো টুর্নামেন্ট খেলে যেতে?
রংপুরের সঙ্গে ডি ভিলিয়ার্সের কথাই হয়েছে ছয়টি ম্যাচ খেলার। চারটি হয়ে গেছে। বাকি আছে দুটি। আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি তাঁর দেশে ফিরে যাওয়ার কথা। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়া ডি ভিলিয়ার্স চাইলে পুরো টুর্নামেন্ট খেলে যেতে পারতেন। আর তাঁর মতো বিধ্বংসী ব্যাটসম্যান খেললে একটা টুর্নামেন্ট কতটা রঙিন হতে পারে, সেটি দেখাই যাচ্ছে।
কাল ঢাকা ডায়নামাইটসের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করা ডি ভিলিয়ার্স সংবাদ সম্মেলনে খুলেই বললেন, কেন তিনি চলে যাবেন আর দুটি ম্যাচ খেলে, ‘আমার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছাড়ার মূল কারণই হচ্ছে অনেক ধকল যায়। ক্রিকেট ও পরিবারের মধ্যে ভারসাম্য খুঁজে পাওয়াটা আমার জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আমার কাছে পরিবারই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। সেভাবে নিজের সূচি ঠিক করি। মানুষ এটা নিয়ে কথা বলবে, তবে আমার দুই ছেলে ও স্ত্রীর কাছে যাওয়া দরকার। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছেড়েছি এ কারণে। আবার যখন আগামী বছর আসব, চেষ্টা করব আরও ভালো (সূচির) পরিকল্পনা করার। নিশ্চিত করব এখানে যেন আরও বেশি সময় খেলতে পারি। হতে পারে নকআউট পর্বটাই খেলে গেলাম।’
মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের উইকেট নিয়ে কত কথা! এই উইকেট বড় স্কোর হয় না, ইচ্ছেমতো চার-ছক্কা মারা যায় না। চার-ছক্কা না হলে ২০ ওভারের ম্যাচে মজা কোথায়! মিরপুরের উইকেট টি-টোয়েন্টির উপযোগীই না—বিপিএলের লো স্কোরিং ম্যাচগুলো যুক্তিটা যেন আরও পোক্ত করে।
অথচ চট্টগ্রামে দেখা যায় বিপরীত ছবি। রানপ্রসবা উইকেটে ব্যাটসম্যানরা চার-ছক্কার বৃষ্টি নামিয়ে দলের স্কোর নিয়ে যান পাহাড়-উচ্চতায়! এবার চট্টগ্রাম পর্বেই ২০০ পেরোনো ইনিংস দেখা গেছে দুটি। চিটাগং ভাইকিংসের বিপক্ষে ২৩৯ করে রংপুর রাইডার্স বিপিএলে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডই গড়েছে। কাল খুলনা টাইটানসের বিপক্ষে ২৩৭ করা কুমিল্লা অল্পের জন্য ভাঙতে পারেনি রংপুরের রেকর্ড। ২০০ ছুঁই ছুঁই ইনিংস ছিল ছয়টি। আজকের ম্যাচ শুরু হওয়ার আগে ইনিংসপ্রতি রান উঠেছে ১৮১.৬। চট্টগ্রামে তিন দিনেই সেঞ্চুরি দেখা গেছে চারটি।
ব্যাটিংবান্ধব উইকেট পেয়ে তিন অঙ্ক ছোঁয়া কঠিন কিছু মনে হয়নি ডি ভিলিয়ার্স, অ্যালেক্স হেলস, রাইলি রুশো ও এভিন লুইসের। তাহলে পুরো বিপিএলে এমন উইকেট থাকাই তো উচিত, যেখানে ব্যাটসম্যানরা ঝড় তুলতে পারবেন, রানের বন্যা বইয়ে দিতে পারবেন। ডি ভিলিয়ার্স আবার তা মনে করেন না, ‘না, সেটা হওয়ার দরকার নেই (সব উইকেট চট্টগ্রামের মতো)। সেটি হলে আবার একঘেয়েমি চলে আসতে পারে। বিশ্বের যেখানেই খেলেছি, একেক জায়গার উইকেট একেক রকম। এমনকি আমার নিজের দেশের কথাই বলি—প্রিটোরিয়া থেকে পোর্ট এলিজাবেথ হয়ে ডারবান, একেক জায়গার উইকেট একেক রকম। এ কারণেই খেলাটা এত মজার। ভিন্ন ভিন্ন উইকেট-কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া জানতে হবে। কখনো দ্রুত ফিরে যেতে পারেন, কখনো আক্রমণাত্মক আবার কখনো আপনাকে চাপ সামলাতে হবে। সবই খেলার অংশ।’