>শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবাল ছাড়া এটাই প্রথম টেস্ট
কাল টেস্ট খেলার ১৮ বছর পূর্ণ হলো বাংলাদেশের। আর আজ শেরেবাংলা স্টেডিয়াম দেখছে তার বুকে ১৮তম টেস্ট! কেমন কাকতালীয়, তাই না! সেই যা–ই হোক, টেস্ট আঙিনায় অভিষেকের ১১ বছর পর মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে এই প্রথম টেস্ট হচ্ছে দুই সেরা পারফরমারকে ছাড়াই।
ঠিকই ধরেছেন। সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবাল। শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে টেস্টে সবচেয়ে বেশি রানের মালিক সাকিব (১২৩৩)। এরপরই তামিম (১১২৫)। এই ভেন্যুতে উইকেট শিকারেও সাকিব সবার ওপরে। ১৬ টেস্টে তাঁর শিকার ৫৯ উইকেট। এই দুই তারকাকে ছাড়াই শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে এটাই প্রথম টেস্ট। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে নিশ্চিতভাবেই সাকিব-তামিমের অভাব টের পাচ্ছে বাংলাদেশ।
২০০৭ সালে বাংলাদেশ সফরে এসেছিল ভারত। সেই টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচে চট্টগ্রামে অভিষেক ঘটেছিল সাকিবের। সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে এই সংস্করণে ভেন্যু হিসেবে অভিষেক ঘটে শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের। তামিমের টেস্ট অভিষেক পরের বছর ডানেডিনে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। ২০০৮ সালের ১ জানুয়ারি থেকে বিবেচনা করলে সাকিব-তামিমকে ছাড়া এ পর্যন্ত চারটি টেস্ট খেলেছে বাংলাদেশ। ২০১৩ সালে গলে সাকিব-তামিম ছাড়া প্রথম টেস্ট খেলে বাংলাদেশ এবং শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সেই টেস্ট ড্র হয়েছিল।
চার বছর পর ২০১৭ সালে ব্লুমফন্টেইনে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্টেও সাকিব-তামিমকে পায়নি বাংলাদেশ। ইনিংস ও ২৫৪ রানের ব্যবধানে হারতে হয়েছিল। আজকের আগে সাকিব-তামিম ছাড়া বাংলাদেশের সর্বশেষ টেস্ট এই সিরিজেই সিলেটে—যে ম্যাচ দিয়ে টেস্ট আঙিনায় অভিষিক্ত হয়েছে সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের—জিম্বাবুয়ের কাছে ম্যাচটা ১৫১ রানে হেরেছে বাংলাদেশ। অর্থাৎ দেশের অন্যতম দুই সেরা ক্রিকেটার ছাড়া এর আগে তিন টেস্টে মাঠে নেমে দুটিতেই হেরেছে বাংলাদেশ। এই টেস্টে কী হবে কে জানে!
গত এশিয়া কাপে আঙুলে চোট পেয়ে মাঠের বাইরে ছিটকে পড়েন তামিম ইকবাল। সাকিব আঙুলে চোট পেয়েছিলেন আরও আগে। পরে আঙুলে সংক্রমণ ঘটায় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজে খেলা থেকে নিজেকে বিরত রাখেন এই তারকা অলরাউন্ডার।