>কোনো টুর্নামেন্টে এই প্রথম নকআউট পর্বের ম্যাচ জিতল বাংলাদেশ
‘প্রতীক্ষাতে প্রতীক্ষাতে, সূর্য ডোবে রক্তপাতে’—পূর্ণেন্দু পত্রীর কবিতার লাইন। বাংলাদেশের ক্রিকেট নিয়ে লাইনটি খানিকটা পাল্টানোর দুঃসাহস দেখানো যায়—‘প্রতীক্ষাতে প্রতীক্ষাতে, দিন কাটবে খালি হাতে?’ কাল রাতে ফাইনালের আগেও সমর্থকদের মনে উঁকি মেরেছে এমন লাইন। ছয়টি ফাইনাল থেকে তো খালি হাতে ফেরা হলো। আর কত? একটা টুর্নামেন্টের শিরোপাও কি মিলবে না?
শেষ পর্যন্ত মিলল। সঙ্গে কাটল গেরোও। গত এক দশকের শাপমোচনও বলা যায়। এ সময়ে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে ছয়-ছয়টি টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলেও শিরোপা জিততে পারেনি বাংলাদেশ। মালাহাইডে কাল ত্রিদেশীয় সিরিজ জিতে এ শিরোপাখরা কাটিয়েছে মাশরাফি বিন মুর্তজার দল। ফাইনাল জয়ের মধ্য দিয়ে আরেকটি প্রথমের স্বাদও পেল—প্রথমবারের মতো কোনো টুর্নামেন্টের নকআউট পর্বের ম্যাচ জিতল বাংলাদেশ।
শুরুটা হয়েছিল ২০০৯ ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে হার দিয়ে। এরপর ২০১২ ও ২০১৬ এশিয়া কাপের ফাইনালে হার। আর গত বছর তিনটি টুর্নামেন্টের ফাইনালে উঠেও জয়ের দেখা পায়নি বাংলাদেশ। ত্রিদেশীয় সিরিজ, এশিয়া কাপ ও নিদাহাস ট্রফি। এ তো গেল ছয় টুর্নামেন্টের ফাইনাল মানে নকআউট ম্যাচ। এর সঙ্গে যোগ করুন ২০১৭ চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সেমিফাইনাল, যে ম্যাচে ভারতের কাছে হেরেছে বাংলাদেশ। তার দুই বছর আগে ২০১৫ বিশ্বকাপ কোয়ার্টার ফাইনালেও ভারতের কাছেই হেরেছিলেন মাশরাফিরা। তবে টুর্নামেন্টের নকআউট পর্বে হারের এখানেই শেষ নয়।
ফিরে তাকান ১৯ বছর আগের চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে। ২০০০ সালে কেনিয়ার নাইরোবিতে আয়োজিত সেই চ্যাম্পিয়নস ট্রফি ছিল নকআউট টুর্নামেন্ট। তার প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হয়ে বাংলাদেশ হেরেছিল ৮ উইকেটের ব্যবধানে। অর্থাৎ, সব মিলিয়ে কোনো টুর্নামেন্টের নকআউট পর্বে নয়টি ম্যাচ হারের পর কাল দশম ম্যাচে এসে অচলায়তন ভাঙল বাংলাদেশ। সেটি শুধু শিরোপাজয়ের গেরো নয়, নকআউট পর্বেরও।