হেড কোচ রাসেল ডমিঙ্গো
হেড কোচ রাসেল ডমিঙ্গো

শিথিল নিয়মে অনুশীলনে ডমিঙ্গোরা

বাংলাদেশ দলের কোচিং স্টাফরা গত সপ্তাহেই ঢাকায় এসে পৌঁছেছিলেন। হোটেল সোনারগাঁওয়ে ছিলেন তাঁরা। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অনুমতি সাপেক্ষে আজ তাঁরা যোগ দিয়েছেন ক্রিকেটারদের অনুশীলনে।

বাংলাদেশ সরকারের নিয়মানুযায়ী কেউ বাইরে থেকে এলে এই করোনাপরিস্থিতিতে ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে থাকা বাধ্যতামূলক। বিসিবি চাচ্ছিল ডমিঙ্গো, কুক আর গিবসনের ক্ষেত্রে সে নিয়ম কিছুটা শিথিল করতে। করোনা পরীক্ষায় নেগেটিভ হলেই তাদের সরাসরি অনুশীলনে যোগ দিতে দেওয়ার কথা ভাবছিল বিসিবি। এ ব্যাপারে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কাছে মৌখিক আবেদন করেছিল তারা। আজ লিখিত অনুমতি পেয়েই অনুশীলনে যোগ দিয়েছেন ডমিঙ্গোরা।

বোলিং কোচ ওটিস গিবসন

প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গো আর ফিল্ডিং কোচ রায়ান কুক একই ফ্লাইটে ঢাকায় পা রেখেছিলেন। একদিন পর আসেন বোলিং কোচ ওটিস গিবসন। করোনা পরীক্ষায় ‘নেগেটিভ’ হয়েই বাংলাদেশের বিমান ধরেছিলেন তাঁরা। ঢাকায় পৌঁছানোর পর তাঁদের আরেক দফা করোনা পরীক্ষা করা হয়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অনুমতি পেতে পেতে এক হিসেবে ৭ দিনের কোয়ারেন্টিন হয়ে গেছে তাঁদের।

এদিকে, বিসিবির করোনা পরীক্ষায় পজিটিভ হয়েছিলেন ট্রেনার নিক লি। তিনি আর ওপেনার সাইফ হাসান ছাড়া সবাই সে পরীক্ষায় নেগেটিভ হয়েছিলেন। নতুন পরীক্ষায় লি আবার নেগেটিভ হয়েছেন। তিনি অনুশীলনে যোগ দিয়েছেন।

বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিন বাধ্যতামূলক হলেও দুবার করোনা নেগেটিভ হওয়ায় বিসিবির অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে কোয়ারেন্টিন শিথিল করা হয়েছে বাংলাদেশ দলের কোচিং স্টাফদের। প্রায় ছয় মাস পর অবশেষে বাংলাদেশ দলের অনুশীলনে দেখা গেল বিদেশি কোচিং স্টাফদের।

ফিল্ডিং কোচ রায়ান কুক

এদিকে, জাতীয় দলের কোচিং স্টাফরা অনুশীলনে যোগ দিলেও বাংলাদেশের শ্রীলঙ্কা সফর নিয়ে এখনো ধোঁয়াশা কাটেনি। শ্রীলঙ্কায় গিয়ে তাদের নিয়মানুযায়ী ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে আপত্তি বিসিবির। বাংলাদেশ চায় সর্বোচ্চ ৭ দিনের কোয়ারেন্টিন।

বিসিবি মনে করে শ্রীলঙ্কায় গিয়ে যদি অনুশীলনই না করা যায়, তাহলে এত অর্থ খরচ করে সফরে গিয়ে লাভ কী! ১৪ দিন অনুশীলন ছাড়া কোয়ারেন্টিন করা মানে ফিটনেস, দক্ষতা—সবকিছুতেই মরচে ধরে যাওয়া। তবে এখনো পর্যন্ত ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনের ব্যাপারে কঠোর শ্রীলঙ্কা। বিভিন্ন সূত্র থেকে পাওয়া যে খবর, তাতে শ্রীলঙ্কা ৭ দিনের কোয়ারেন্টিন না মানলে সফরে না যাওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়ে যেতে পারে।