>রবি শাস্ত্রীকে অপছন্দ করার লোক যেন দিন দিন বেড়েই চলেছে। বিসিসিআইতে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত প্রশাসক কমিটির (সিওএ) অন্যতম সদস্য ডায়না এদুলজি জানিয়েছেন, শাস্ত্রীকে ভারতের কোচ হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার ব্যাপারে সম্মতি ছিল না তাঁর
দুই দিন আগেই ভারতীয় ক্রিকেট যেভাবে চলছে, সে ব্যাপারে শঙ্কা প্রকাশ করে বিসিসিআইকে চিঠি লিখেছিলেন সৌরভ গাঙ্গুলী। তাঁর চিঠিতে ভারতের কোচ রবি শাস্ত্রীর নিয়োগের ক্ষেত্রে বিসিসিআইয়ের অস্বচ্ছতার বিষয়টা ভালোভাবে ফুটে উঠেছিল। এখন সৌরভের সঙ্গে সুর মেলালেন বিসিসিআইতে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত প্রশাসক কমিটির (সিওএ) অন্যতম সদস্য ডায়না এদুলজিও। রবি শাস্ত্রীকে কোচ হিসেবে চাননি বলে জানিয়েছেন এই প্রশাসক।
কিন্তু কেন তিনি শাস্ত্রীকে কোচ হিসেবে চাননি? এ বিষয়ে এদুলজি জানিয়েছেন, ভারতের কোচ হওয়ার জন্য দরখাস্ত জমা দেওয়ার সময়সীমা পার হয়ে গেলেও শাস্ত্রী দরখাস্ত জমা দিতে পারেননি। এদিকে দলের অধিনায়ক বিরাট কোহলির পছন্দের মানুষ শাস্ত্রী যেন দরখাস্ত জমা দিতে পারেন, এ জন্য দরখাস্ত জমা দেওয়ার সময়সীমাও বাড়ানো হয়। আর এতেই আপত্তি ছিল এদুলজির।
অধিনায়ক বিরাট কোহলির সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় অনিল কুম্বলেকে ছাঁটাই করা হয়। কোহলি খুব করে চেয়েছিলেন যেন শাস্ত্রী কোচ হিসেবে কুম্বলের জায়গায় আসেন, ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলোতেও কোহলির এই চাওয়ার ব্যাপারটা ছড়িয়ে পড়ে। শাস্ত্রী যেন কোচ পদে আবেদন করতে পারেন, তা নিশ্চিত করতে আবেদনপত্র জমা দেওয়ার সময় বাড়ানো হয়েছিল। নতুন কোচ নিয়োগ দেওয়ার কমিটিতে ছিলেন সাবেক অধিনায়ক সৌরভ। কোচ নিয়োগের সাক্ষাৎকার শেষে সৌরভ বলেছিলেন, কোহলিকে তাঁর চাহিদার ব্যাপারে ভাবতে আরেকটু সময় দিতে চান।
কিন্তু ঘটনা অন্যদিকে মোড় নেয়। সৌরভ যেদিন কোহলিকে সময় দেওয়ার কথা বলেছিলেন, সেদিন সন্ধ্যাতেই কোহলিদের কোচ হিসেবে রবি শাস্ত্রীর নাম ঘোষণা করে বিসিসিআই ও সিওএ। যদিও সেদিন প্রথম সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছিল, ব্যাটিং কোচ হিসেবে রাহুল দ্রাবিড় আর বোলিং কোচ হিসেবে জহির খান যোগ দেবেন জাতীয় দলের সঙ্গে। কিন্তু ভারতীয় ক্রিকেট দলের এই দুই সাবেক তারকা জাতীয় দলের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পাননি। সেটাও শাস্ত্রীর ইশারাতেই। সহকারী বোলিং কোচ হিসেবে জহির নন, বরং ভরত অরুণকে চেয়েছিলেন শাস্ত্রী। ফলে জহিরকে কাজ করতে না দিয়ে অরুণই শাস্ত্রীর সহকারী হন। গোটা নিয়োগপ্রক্রিয়াই ছিল ঘোলাটে।
সৌরভ গাঙ্গুলী তাঁর চিঠিতে এ নিয়ে লিখেছেন, ‘কোচ নিয়োগের ব্যাপারে আমার অভিজ্ঞতা ছিল আতঙ্কজনক। এ নিয়ে যত কম বলা যায় ততই ভালো।’ তাঁর সঙ্গে এখন শাস্ত্রীর ব্যাপারে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করলেন এদুলজিও। দেখা যাক, কোথাকার ঘটনা কোথায় গড়ায়!