একদিকে শচীন টেন্ডুলকার। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। শুধু রান করেছেন বলেই নয়, রানগুলো যেভাবে করেছেন, সেটাই টেন্ডুলকারকে আলাদা করে দেয়। নিখুঁত কৌশল ও অনবদ্য সৌন্দর্যের মিশেলে টেন্ডুলকার অনন্য।
ওদিকে উমরান মালিক, এখনো আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে হাতেখড়ি হয়নি। ঘরোয়া ক্রিকেটেই সব মিলিয়ে ২৬টি ম্যাচ খেলেছেন। কিন্তু এ দুজনের মধ্যে একটি জায়গায় মিল খুঁজে পেয়েছেন সুনীল গাভাস্কার।
একসময় টেন্ডুলকারের খেলা দেখবেন ভেবে রোমাঞ্চিত হতেন, বহুদিন পর আবার কারও খেলা দেখার জন্য রোমাঞ্চ বোধ করছেন ভারতের সাবেক অধিনায়ক।
টেন্ডুলকার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রেখেছেন ১৬ বছর বয়সে। এর বহু আগে থেকেই তাঁর আগমনীধ্বনি পাওয়া যাচ্ছিল। স্কুল ক্রিকেট ও ঘরোয়া ক্রিকেটে এতটাই প্রভাব ফেলেছিলেন টেন্ডুলকার। সেদিক থেকে উমরান মালিকের গল্পটা ভিন্ন। ২২ বছর বয়সী এই পেসার তিন বছর আগেও টেপ টেনিসে খেলতেন। ঘরোয়া ক্রিকেটও খুব একটা খেলেননি। আইপিএলেই খেলেছেন বেশি। কিন্তু প্রকৃতিগত প্রতিভা তাঁকে এখন বিশ্বজুড়ে পরিচিতি এনে দিয়েছে।
এবারের আইপিএলে নিয়মিত ঘণ্টায় ১৫০ কিলোমিটার গতিতে বল করে চমকে দিয়েছেন উমরান। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ডাকও পেয়েছেন। যদিও প্রথম দুই ম্যাচে তাঁকে নেয়নি ভারত, সে দুই ম্যাচেই হেরেছে ভারত।
স্টার স্পোর্টসের এক অনুষ্ঠানে গিয়ে গাভাস্কার বলেছেন, ভারত দলে উমরানকে দেখার জন্য মুখিয়ে আছেন তিনি, ‘সর্বশেষ কোনো ভারতীয় খেলোয়াড়কে দেখার জন্য উত্তেজনা বোধ করেছিলাম, সে শচীন টেন্ডুলকার। এরপর আমি উমরান মালিককে দেখার জন্য এতটা আগ্রহ পাচ্ছি।’
২০২১ আইপিএলে আবির্ভাব হলেও সেবার খুব বেশি ম্যাচে দেখা যায়নি কাশ্মীরের ছেলেকে। এবার আইপিএলের সব ম্যাচেই খেলেছেন মালিক। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে ১৪ ম্যাচে ২২ উইকেট পেয়েছেন। ঘণ্টায় ১৪০ কিলোমিটারের নিচে খুবই কম বল করতে দেখা গেছে, মাঝেমধ্যে তো পুরো ১ ওভার ১৫০ কিলোমিটার গতিতেও বল করতে দেখা গেছে।
গাভাস্কার তাই আশায় আছেন, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মালিককে সুযোগ দেওয়া হবে। তবে বাস্তবতা যে ভিন্ন, সেটাও মানেন টেস্টে প্রথম ১০ হাজার রানের দেখা পাওয়া এই ব্যাটসম্যান, ‘আমি বিশ্বাস করি, ওর খেলা উচিত। কিন্তু ওরা হয়তো বলতে পারে, আগে আমরা তৃতীয় ম্যাচটা জিতে নিজেদের একটা অবস্থানে নিই। এরপর হয়তো ওরা পরীক্ষা–নিরীক্ষা করার কথা ভাববে। বিশাখাপত্তমে কোন ধরনের উইকেট থাকবে, সেটার ওপরও নির্ভর করছে।’